সীসা, লোহা, তামা, রুপা, সোনা - পলিকার্বন আচ্ছাদনে ঢাকি
কে যেন শিল্পদ্যোগী বানিয়েছে স্মার্ট - খানিক মগজ গুঁজি
লিথিয়াম মেটালিক অক্সাইডে দিয়েছে প্রাণ -যা খুশি দেখাও - দেখি
যেখানেই মনে হয়, একটু ছোঁয়ায় সাড়া দিই,  হৃদয়ে গেঁথে রাখি
তোমার সব গোপন-একান্ত আপন, অনাবিল ইচ্ছা রাশি রাশি,
আমি হৃদয়বান, নয় গো সেলফিশ - আমি শুধুই তোমার  সে-ল-ফি।।


আমি দিলদার, যখন যে হাতে থাকি, আমি তার, শুধুই তার
না পুরুষ না নারী, কোন খানেই নেই বাছ-বিচার
সুর্যের আলো না দেখা প্রান্তে পৌঁছাই তোমার ইচ্ছাতে,
তুলে আনি সপ্নিল মায়াজালে ঘেরা মাধুরী মুহুর্তে, নির্বিবাদে
চাক্ষুস করাই সেই প্রতিবিম্ব সুক্ষ্য-সুক্ষ্যাতি মনোযোগে
অবাক হবার পালা, যা একান্তই তোমার, অথচ দেখনি আগে ।।


অনুভবে, উন্মাদনায়, পেয়েছ অনেক, তা ছিল শুধুই স্মৃতিভাসে
আজ তুমি তারে পেলে - দেখলে অবাক করা দুষ্টু চোখে
আমাদের মাঝে নেই তৃতীয় জন, খোলা সাওয়ারে বস্ত্রহীন
সরল-বক্র সকল জ্যামিতিক দৈর্ঘ-প্রস্থ্‌ রাগে-অনুরাগে
তুমি-আমি নিমগ্ন, আমার অনুভুতির ক্রিস্টালাইন তরলে
মালা গাঁথি সুক্ষ স্নায়ুতে, শুধুই তোমাকে অবাক করার আশে।।


যদি চাও, পারি ছড়াতে এই গোলকের প্রতি কোণে, মুহুর্তে
তোমার নিঃস্তব্ধ বেলায় উদত্য ফেনিল তরঙ্গ রাশির বিস্তৃতি
পুরুষ্ট বাঁধের দুপারে জেগে থাকা চর যা বিন্যস্ত শৃঙ্গ পাদদেশে
পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা অজানা বিস্ময়, সু-গভীর বাঁকের রোমাঞ্চ
বিস্তৃত  কোমল বুকে জড়িয়ে আদৃত কামড়ে ধরা কমলা ঠোঁট,
অমৃত কলস থেকে চেটে তুলে নেওয়া তৃপ্তি, স্বস্তির শ্বাস নিমেষে।।