মেহমানের আপ্যায়নে হওনা যতই দিলদার
ভোজের শেষে কানা-ঘুসা, প্রশ্ন ওঠে বার বার
পেল কোথায় অর্থ এত, হলেও ভোজন  চমৎকার
উঁকি-ঝুঁকি নানান ছলে, এত করার কি দরকার।।


মাজ্ঞি-গন্ডার বাজারে - তা এত খরচ করলে ভাই
এখন তোমার কষ্ট হবে, বাজার আগুন, যাচ্ছে তাই
ধার দেনা নয় সমিচীন, সামনে খরচ সীমাহীন
থাকার মধ্যে চাকরি টুকুই, পরামর্শ, এ সব করা অর্থহীন।।


কেউ বা বলেন আগ বাড়িয়ে, ঘুসের টাকায় হচ্ছে সব
কেউ বা বলেন, শুনেছি শ্বশুর আছেন বাপের বাপ
ফিস ফিসিয়ে বলেন কেহ, আরে থামো থামো, আমি সবই জানি
এই তো, কদিন আগেই গরীব ছিল, জুটত কেবল ভাত আর পানী।।


মেহমান তুলছে ঢেকুর, বলছে তবু, রসগোল্লাটাই একবার
আরো একটা দুটো দিলে পারত, এটা  ছিল দেখার
কেউ বা বলে, ও একলা মানুষ, সব খাটুনি একার উপর
কেউ বা বলেন, মুরগী এখন আর চলেনা, মাছ টা ছিল দমদার।।


পানটা হত আরো ভালো, আমায় যদি বলত
ভাবছে মনে,  হাজার পানের অর্ডারে, আমারো কিছু থাকত
বাটার ফ্রাই ভেটকির নয়, মনে হয় হাঙর-টাঙর হবে
নইলে ৭০০  টাকার প্লেটে  কি এত ভালো দেবে।।


কেউ বা বলেন, আরে ঐ যে, লেখার থেকেও আসে টাকা
এমনি কি সব করে, ধান্দা আছেই, নয় সে তেমন বোকা
আগে পরে হাঁড়ির খবর, শ্বশুর বাড়ী কোথায়, আছে নাকি বেঁচে
শুনেছি বাপের নাকি একলা মেয়ে, যা কিছু সবটাই তো পাবে।।


দেখেছ ! বউটাকে ওর,  দেমাক আছে অনেক, টাকা আছে বাপের
খাবার সময় এলোনা তাই,   খোঁজ নিলনা মোদের
বেশ কচি কচি গড়ন বটে,  মাথায় অনেক চুল,
কেউ বা বলেন, আরে তোমরা দেখি করছ হজম, হচ্ছে কিন্তু ভুল ।।


স্বামী স্ত্রীতে বনিবনা নেই তো তেমন , হাওয়ায় ভাসে খবর
এক দেখাতে বুঝতে হবে, নইলে কিসের স ম জ দার
সমাজ এক আজব মঞ্চ, খবর রটে অরুচি কাটে মজার
ভাল তো কেউ বলেনা,  এ রঙ্গ  চ ল ছে   নিরন্তর।।