শ্রাবন এল ঝম ঝমিয়ে একলা দূপুর বেলা
মনের মাঝে জল থৈ থৈ কাটল গুমোট খেলা  
বাজিয়ে নূপুর সারা দুপুর গান শুনিয়ে শেষে
নিল বিদায় গোধুলিতে মন খারাপের দেশে।।


ডালে ডালে পালক ঝাড়া, শ্রাবন গোধুলিতে
শালিক, ছাতার, বুলবুলিরা নিজের কথায় মাতে  
ছোট্ট বাসা ভিজে গেছে, রাতটা কাটবে কেমন
চড়ুই আছে অট্টালিকায় মহাসুখে, বরাবরের মতন ।।


রাত চরাদের, ভারি মজা জাগবে হেসে খেলে
পেটভরা আজ খাবার পাবে ভেজা মাঠের আলে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর – কুটুর কুটুর – শব্দ মুখর রাত
শ্রাবন রাতের নেশায় মেতে করছে বাজীমাত।।


ছড়িয়ে পাখা, পা ঝুলিয়ে নামছে ভিজে মাঠে
শিকার ধরে মনের সুখে হলদে লম্বা ঠোঁটে
খেয়াল খুশির ওড়া উড়ি, যখন যেমন মনে
ডাকছে ডাহুক কুক-কুক-কুক বৃষ্টি ভেজা বনে।।


সকাল বেলায় সবুজ পাতা হাসছে খুলে প্রাণ
নরম রোদের আলো মেখে করছে রৌদ্র স্নান
ভেজা মাটির স্বাদে মেতে শিকড় কথা বলে
আজকে ওরা নয়তো নীরব, কষ্ট গেছে ভুলে।।

টগর, বেলি, দোপাটিরা ফুটছে বাগান ভরে
জবা গুলো নিদ্রা টুটে জাগছে সবে, একটু দেরি করে
কামিনীরা ঝরে গেছে থাকতে প্রহর বাকি
মাতিয়ে দিয়ে মনের আসর, শ্রাবণ ধারা মাখি।।


২রা  শ্রাবন, ১৪২২
সোনারপুর।