নিশা অবসানে, বিভাসিত ব্রাহ্ম মুহুর্ত
জাগিছে ধরণী, পত্র পুস্পে শোভিত মলয়ে ধীরে
নবীন ল্যাবন্যে, শতনামে, মধুভাষে নগর সংকীর্তনে,  
আজানের সুরে আপ্লুত হৃদয়, মৃদু কলরবে বহে
স্রোতস্বিনী, বক্ষে ধরিয়া মায়া, বিরাট শিশু তপনে।।


ত্যাজিয়া কোমল আলিঙ্গন শয্যার, নিখাদ নিদ্রা সুখ
জাগিছে কর্ম, জীবন-সুধাসম, অনিত্য এ সংসার মাঝে
চিত্তে ভাসিয়া আসে চঞ্চল সুখ, সুরধ্বনি রেখা টেনে  
কিশোরী হস্তের পেলব পরশে, চরকার বিমল আবর্তনে
মাকড়সা জাল সম শুক্ষ, সুতিকা জন্মে কার্পাস মন্থনে ।।


পরিণত জ্ঞান, মোহনমন্ত্রে, দক্ষ হাতের সুকৌশলে খোলে
পাকানো সুতিকার মাল্য একে একে, জাগি অন্যরুপে  
স্থিত হয় সবে বেতজ পাত্রে, স্বপ্ন ছড়ানোর আগে
সহচরী সাথে লীলায়িত রঙ্গে, রহিয়াছে যে অধীর অপেক্ষায়
নিরবে, মাধবীর ছায়ায় ঢাকা, সৃষ্টির সনাতনী কুঞ্জে।।