যুগ যুগান্তের নিত্য প্রয়োজনে, লাজ নিবারণে, জীবন-মরণে,  
ব-য়ে বাঁধা রশা-রশির ছান্দিক সঞ্চালনে পেয়ে গতি,
মাকু ছোটে, স্থীর লক্ষ্যে কাষ্ঠ সরণী বেয়ে, যেন সহস্র অশ্বখুর নাদে
বিদীর্ণ করিয়া ঊষাকাল, ধাবিছে দুরন্ত পরাভবে নব সৃষ্টির পানে  
সজাইয়া সুতিকা জাল একের পরে একে, শিল্পীর চেতনে মাতি।।


নিস্তব্ধ, সবুজে ঘেরা, নিকানো, সনাতন সে শিল্প কুঞ্জে,    
উচ্ছসিত পদ যুগলের তাল-লয়ে, তানার ঝাঁপ ওঠে-নামে
নির্দেশিত পথে, পোড়েনের মুখ চেয়ে, সহ-বস্থানের সহর্ষে
ঘুরায়ে-ফিরায়ে নলিনীরে, নানা ভাবে, সু-স্থির চিত্তে, মাপে মেপে
ধাপে ধাপে, সাজিয়া ওঠে কনক-কামিনি-তরু-লতা নানান বৈভবে ।।  


আঁচলে স্বপ্নের খেলা, শরীর জুড়িয়া শৈপ্লিক ধারা, অনাবিল আনন্দে
মরাল-মিথুন, কলরবে দিতেছে পাড়ি - দুই পাড়ে, পান্না-সবুজ মাঝে    
লাল চুড়িপাড়ে কেহ বা জাগে, অঙ্গে হীরক বুটির হাজারি বাহার
শিল্পী মনের ভাবনার রঙে ভাসে কাব্যিক সৃষ্টি, ছন্দে ছন্দে বারং বার
সিল্কের তানায় খাদির পোড়েন,  পরশে, অনুভবে, মাতায় মন, অপরূপে ।।