সোনালি তন্তুর বাদশাহী রোশনাই, পারিজাত সম ফোটে জামদানী বুননে
যেথা, পূর্ণ শশী উর্বশী, রম্ভা, তিলোত্তমে, মন্দ্রিত, রাগ-অনুরাগে  
মাতিয়া মন্দাকিনীর জলে, দেহ-দাহ শীতলিছে নিবিড় যতনে  
নীরব অম্বর দেখিছে সে রুপ, অপলক আবেশে, কুতুহলে
সঁপিয়া মন পদ্মরাগে, রাঙা কলেবরে হয়ে আপ্লুত, প্রেমানন্দে।।  


দৈত্য কুলে প্রহ্লাদ সম,  ছুটিছে মাকু, সভ্যতার ঊষা কাল হতে  
দুখের কাজল চোখে, তানা-পোড়েনের শিল্পের প্রতি ঝাঁপে  
বিকোলেও তা অনেক মূল্যে, শিল্প থেকে শিল্পীরা সব ধুঁকছে  
হাজার প্রশ্ন, নূতন প্রজন্ম বারে বারে তাই তুলছে, অসম যুদ্ধে প্রতিদিন  
পল্লবহীন বৃদ্ধ মহীরুহ মহাপ্রয়ানের কালে, শিকড়ের কান্না শুনছে।।  


কর্ম মাঝেই জীবন খোঁজা, সৃষ্টির আনন্দে, ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভুলে মেতে থাকা
যুক্ত করে পুরো পরিবার, সংসার সমুদ্র মাঝে আশায় আশায় বুক বাঁধা
বেদনার ভার, না পারে সহিতে অশ্রুদ্বার, তানার সুতো কাটে মহাজনী ঋনে
জীবন খেয়ার গতি হয় রুদ্ধ,  কালের গর্ভে বিলীন হবে কি গর্ব, চির তরে  
শিল্পীর যন্ত্রনা কেই বা বোঝে, রাজধর্ম ! সেও তো কেবলি অযুত ধাঁধা।।



--------শেষ --------