জামাই মানেই সোনার টুকরো, কেন এমন হয়
ছেলেগুলো ভীষণ পাজি সব মায়েরাই কয়
বলনা মাগো কি-সে কারন, বড় জানতে ইচ্ছে হয়
বিয়ের আগে পোড়ারমুখি ছিল সহদরা
ছেলেই ছিল বুকের পাঁজর, ছিলি চোখেই আত্মহারা।।
শিখিয়েছিলি একই বৃক্ষের দুটি ফল , সমান অধিকার
তবু ছেলের পাতেই মাছের মুড়ো, সহদরা পর
বলনা মাগো কিসের দোষে করিস এমন কান্ড
মেয়ের কথায় ঝাঁজিয়ে উঠিস, ছেলের কথা হয়না সে মন্দ
দুজনেই যে তোর সৃষ্টি, আলো দেখাস একদিকে, অন্যটা অন্ধকার।।
তুইও যে সেই মেয়েই ছিলি, বুঝিসনে কি ব্যাথা
নাকি মুখে মুখেই করিস এমন, নয়কি মনের কথা
বলনা মাগো কি ভাবে হয়, সবের পরিবর্তন
মেয়ে গেলে অন্যঘরে, ভাবিস - জামাই অরুপ রতন
অন্য মেয়ে এলে ঘরে, পাল্টে ফেলিস মুখচিত্র যখন তখন।।
এটাই কেন রীতি-নীতি, কিসের এত দন্দ
মাগো, তুইও যখন এসেছিলি, ছিল কি কপাল মন্দ !
বলনা মাগো সত্যিকথা, কোনটা আসল ছন্দ
মাগো তুই সব রুপেতেই, তবু কেন একটাকে দিস পাস
অধিকার যে ছাড়তেই হয়, করনা সেটাই অভ্যাস।।
জামাই যে তোর আর এক মায়ের, তারও ব্যাথা এক
সব মায়েরি একই কথা মেয়ে থাকুক মহা সুখে, বৌমা কষ্ট পাক !
এ তোদের কেমন রুপ, বুঝতে গিয়ে, হই বোকা বেবাক
দুটোই যে তোর বুকের রক্ত, একই গর্ভজাত
তবু কেন করিস এমন, মাগো করনা অবগত।।