প্রাণের সই মিমি, আমি যে তোর ছোট্ট কালের স্বামী
পুতুল খেলার ছলে, ডাকতি আমায় ও’গো বলে!
সকাল-সাঁজে সংসার পাততাম বকুলের তলে।
পুতুল ছেলে, পুতুল মেয়ে বাবা-মা আমরা দু,জনা
টই টই করে ঘুরতে সারা গাঁ! কেউ করতনা মানা।
বিকাল হলে, ঢোংলার নৌকা ভাসিয়ে দিঘীর জলে
খেই হারিয়ে যেতাম বার মিশালি তালে।
ভর দুপুরে শাপলা তুলতে, বিলের ধারের ক্ষেতে
কলা গাছের ভেলা সাজিয়ে, নিতি আমায় সাথে।


দিন পেরিয়ে মাস গেল, বছর পেরিয়ে বছর
ক্রমে ক্রমে তোর কাছে কমল আমার কদর!
স্কুল পেরিয়ে কলেজ গেলি, তাও তো বেশ ভালোই ছিলি
কলেজ পেরিয়ে স্বামীর বাড়ী, এ যেন জন্মের আড়ি?
এখন আমার একলা চলা, একলা ভেজা, একলা রাত্রি জাগা
একলা সংসার, একলা বেঁচে থাকা, তেপান্তরে একলা হাঁটা
চিলেকোঠায় বসে একলা ভাবা, পাষাণ নাকি বন্দী বাংলার নারী?