শুধু দুইটা পয়সার জন্য কত রুপেই না সাজি
ভারসাম্যহীন দেহে কত কেমিক্যালই না মাখি
কত রঙঢঙ আঁটসাঁট পোশাকে বাধি নিজেকে, তোমাদের করতে রাজি
তোমাদের লালসা মেটাতে কত বিছানায় যৌবন রাখি বাজী।
শরিলের সব ভাঁজ খুলে রাখি, রাত্রী সকাল কিংবা সাঁজে
পৃথিবী বলতে কি আর আমার আছে, এই পথটাই যে অতি বাজে
শত নর রুপি পিশাচের দেহ তরঙ্গের ঢেউ খেলা, হৃদয় সমুদ্রে না লাগে ছোঁয়া।
শুধু দুইটা পয়সার জন্য দিন-রাত্রি পিশাচের সামনে কাপড় খোলা।


কুলি মজুর, সাহেব কিংবা বড় সাহেব কিসের এত হিসাব
সবাইতো এক, অন্তরালে নগ্ন দেহে নিতম্বর খেলা
আলো ফুটলেই নগ্নিকার অচেনা হওয়া।
সতী-সাধ্বি রেখে ঘরে, যৌবন জ্বালা মেটাও আমার দারে
লজ্জা কি তোমার আছে দেহের ভিতর ঐ অন্তরে?
বন্ধ ঘরে কত বার পড় আমার শরিলের ভাঁজ
যদি একবার দেখতে নিষিদ্ধার হৃদয়ের খাঁজ
কত কষ্ট জমে ঘেন্নায় দিচ্ছে অভিশাপ?
একই মঞ্চে হই যদি আমি বেশ্যা! জনসম্মুখে তোমাদের কিসে ভালোর কেচ্ছা।