স্নিগ্ধ নয়নে অঙ্গ হেলনে সন্মুখে তুমি- বৃষ্টিস্নাত লাজুকলতা।
অপরুপ সুন্দরী নিদারুণ তুমি অতি, মায়াবিনী প্রিয়তা।
মেঘবালক ঐ আলতা রাঙানো পা করিতে স্পর্শ,
দেখনা, জলদেবতা হয়ে আসছে ছুঁটে ধরণীর এই সুন্দরতম দৃশ্যে।
নাহি পারবে ছুঁতে ঐ কুসুম কোমল তনু,নাহি দৃষ্টিনন্দন কেশ-বেণী,
জানি,বৃষ্টিদেবতা নিজেই করিবে আত্মহত্যা ঐ রূপ-স্নানে অগ্নি।
বনবাসী মায়াবী হরিনীর মতন তোমার নয়ন,
তুমি অপরুপা, মুক্ত বিহঙ্গী নাটোরের বনলতা সেন।
তব কণ্ঠ যেন সুমিষ্ট সুমধুর বাঁশরীর তান
মন ভরিয়ে দেয়, পাই বসন্ত আগমনী হাসনাহেনার ঘ্রাণ।
মোর আলো- আঁধারী স্বপনের এক দিশারী,
তুমি হৃদয় সুশীতল দক্ষিণা সমীরণ নীল নীলাঞ্জনা মাধুরী।
সেদিনের গোধুলি শ্যামল ছায়ায়,
বৈশাখী বসনায় তিলোত্তমা যেন এক তিমির হন্তা,
তুমি ছিলে,আছো,থাকবে,
হৃদয়কোটরে অনিন্দ্য কাব্যময় হয়ে লাবণ্য কান্তা।