বাবা ছেড়ে গেছেন চলে
আকাশের তারা হয়ে
মা আছেন জেলের ভিতর
পুলিশে গেছে নিয়ে।
সৌমি পুষ্পা দুই বোনেতে
কাটায় দুঃখে দিন
খাবার তাদের ভাগ্যে জোটেনা
চেহারা রক্ত হীন ।
সৌমির দশ পুস্পার সাত
পুস্পা স্কুলে পড়ে
সৌমির পড়া হল না আর
সুখ গিয়েছে উড়ে ঝড়ে।
বোন তবু স্কুলে যায়
বড় হতে হবে তাকে
হয়ে সে বড় ল ইয়ার
ছাড়িয়ে আনবে মাকে।
মাওবাদীরা বাবা কে মেরেছে
পুলিশের চর বলে
পুলিশ নিয়ে গেছে মাকে
মা নাকি মাও দের দলে।
বোন প্রতিদিন স্কুলে যায়
সৌমি ঘরেতে থাকে
একদিন বোন আসলো না ফিরে
সৌমির মুখ টা ফিকে।
বোনকে খুজতে গিয়ে দেখে
জমেছে লোকের ভিড়
বোনটি তার ঘুমিয়ে ঘেছে
দেহ তে লেগেছে চিড়।
ম্যানহোলে তাকে পাওয়া গেছে
এসব কি ভাবে হল ?
সন্ত্রাসীর মেয়ে মরলে বা কি
জনগনের বয়ে গেল।
সৌমি এখান কাটায় দিন
ভেবে মায়ের কথা
মাকে ওরা রেখেছে ধরে
দিচ্ছে অনেক ব্যথা।
কে বা পথ দেখাবে তারে
কিভাবে বাঁচবে মা
এই জীবনে মায়ের আর
বন্ধন মুক্ত হওয়া হল না।
বসে একা কাটে তার দিন
মা তার গিয়েছে মরে
ঘরের বধু অত্যাচার
কত বা সইতে পারে।
ক্ষুধিত দের নখের আচড়ে
মায়েদের মৃত্যু হয়
এমন দিন দেখালে আমায়
পরম করুনাময়।
আর কত দিন রইব আমি
সন্ত্রাসীর মেয়ে হয়ে
তুমি ও কি ফিরলে মুখ
যাবে না আমায় নিয়ে ?