আজ সকালে দেখে এলাম
গ্রাম কারে কয় ,
সূর্যমুখী ফুলের মাথায়
সূর্য সেথায় রয়।


সকালের কুয়াশা যেথায়
বৃক্ষ জুড়ে রয়,
গাছে গাছে পাখির কন্ঠ
আকাশ বাতাস মধুময়।


হলদে রঙ্গের ঝিঙে ফুলটা
তুলছে মাথা সবে ,
ফাঁকা মাঠ টা রয়েছে ভরে
পাখির কলরবে।


সকাল বেলায় রাখাল বালক
গরু নিয়ে যায় ,
দুষ্টু শিয়াল পিছে পিছে
চুপি চুপি যায়।


সঙ্গী সাথী সবাই কে ফেলে
একাই এসেছে ,
ধরতে পারলে মারবে রাখাল
আজকে বেটা ফেঁসেছে।

মেঠো আলপথ উঠেছে সেজে
ছোট্ট ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে ,
জল ভরা উঠানে তার
চিংড়ি খেলা করে।


মানুষ গুলো সহজ সরল
সব সময়  খাটে ,
স্বামী স্ত্রীর দিন কেটে যায়
সারাটা দিন মাঠে।


সহজ সরল গ্রাম্য বধু
স্বামী অন্ত প্রাণ ,
স্বামীর কষ্ট লাঘব করতে
নিজেই হচ্ছে ম্লান।


এদের ঘরের চাঁদের আলো
পড়া শুনা করে ,
রোজ তারা এক মাইল হাটে
একটু শেখার তরে।


এখানে সবাই কত হাসিখুশি
সবাই কত সুখী ,
এক বর্ণ ও বলছি না মিথ্যা
গ্রামটি সাগর মুখী ।


হুগলি নদীর  তীরে অবস্থিত
ছোট্ট একটা গ্রাম ,
সবাই কিন্তু জেনে রাখো
হরিপুর তার নাম।


সকল কিছু টাটকা পাবে
ফুরফুরে দখিনা হাওয়া ,
শাক,সবজি , ফল মূল
সব ই যাবে পাওয়া।