তুলসী তলায় নিকোনো উঠানে
মায়ের পূজা দেওয়ার সময় ,
সংখ্য আর উলুধনী তে সন্ধ্যা
মেতে উঠত গোটা ঘর ময়।


আঁচলে বাঁধা চাবির গোছাতে
চিনতাম সে যে গৃহিনী ,
খাবার সময় কতকিছু পদ
মা যে আমার পাকা রাধুনী।


মায়ের আঁচলের ধোয়ার গন্ধ
কোথাও পাবে না যে তুমি ,
এত স্নেহ ভালোবাসা দেয় যে
শুধুই আমার বঙ্গ ভূমি।


শালিক চড়ুই ফিঙের নাচন
দোয়েল পাপিয়ার দুষ্টুমি ,
চিলের দোল খাবারের লোভে
ছুয়ে যায় যেথায় সবুজ ভূমি।


শান্ত স্নিগ্ধ সুশীতল ছায়া ঘেরা
চারিদিকে সবুজের সমাহার ,
জন্মদাত্রী  মা আর বঙ্গ মাতা
এখানে মিলে মিশে একাকার।


ইঁদুর কাটে ধানের সোনালী শিশ
হুলো তার পায়না কভু খোঁজ ,
রাজ হাঁসের দল মাছ খুজতে
সারাটা দিন হয় যেথায় নিখোজ।


স্বপ্নে ভরা সবুজ সোনায় মোড়া
জীবনানন্দের সেই বঙ্গ ভূমি ,
হেমন্ত আজ আসে না কেন
বঙ্গ কোথায় হারালে তুমি।


পাখ পাখালি ওড়ে না আর
সবুজ গেছে আজ শুকিয়ে ,
বঙ্গ ভূমি জর্জরিত হিংসায়
সুন্দর দিন রয়েছে লুকিয়ে।