এতো আর্তনাদ এতো সংগ্রাম-চিৎকার বিনয়ে-বিদ্রোহে নিত্য
কেবল বেঁচে থাকার জন্য, কেবল টিকে থাকার জন্য এ ধরায়,
তারপরও বাঁচতে চাইলে মানুষের মত, ওরা তাড়া করে পিছু
ওরা বলে, ‘রাস্তার কুকুর হ; বাঁচবি তো ওভাবে বাঁচ অসহায়;!’


এতো অনুনয় বিনয় করি, আর ক্ষমা চেয়ে ভিক্ষে মাগি দুহাতে-
‘মের না প্রানে, বাঁচার অধিকার অন্তত দাও;’ ওরা বলে, ‘হবে না,
তোকে বাঁচার অধিকার কে দিয়েছে!’ আমি বলি, ‘ওই ঈশ্বর আছেন-
তিনি সবকিছু দেখেন, তোমাদের বিচার হবে তার হাতে, পাবে না
ছাড়।’ ওরা ক্ষুব্ধ হয়, বলে, ‘তোর ঈশ্বর আমাদের বিচার করবে?’
আমি এবার ঈশ্বরকে বলি, ‘হে তুমি কী আছো, তুমি দেখতে পাচ্ছো
আমার ন্যায্য পাওনা না বুঝিয়ে ওরা বরং আমাকে আঘাত করছে!’
তোমার অস্তিত্বের প্রয়োজনইবা কেন তবু? তুমি কী নীরব সাক্ষী শুধু?


মিরপুর, ঢাকা, বিকেল, ৩ এপ্রিল’১৮