নিশ্চয় ঈশ্বর বেঁচে নেই-
তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো
ফিলিস্তিনীদের রক্তেস্নান করার সাহস ইসরাইলীদের থাকতো না
তিনি স্বজ্ঞানে জীবিত থাকলে-
সিরিয়ায় সারাবছর বোমা দিয়ে এভাবে শিশু নিধন চলতো না
তিনি কোন ভূমিকা রাখলে-
কাশ্মিরে শত বছর ধরে জিম্মি হতো না কিছু নিরীহ মানুষ
তিনি মানবতার পক্ষে থাকলে-
মিয়ানমারে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নির্বিচারে হত্যা করা হতো না এভাবে
তিনি মৃয়মান না থাকলে-
মানবতার পক্ষের লোকগুলোকে প্রতিদিন মার খেতে হতো না বিশ্বে,


হায়, ঈশ্বর আজ বেঁচে নেই!
তিনি থাকলে একজনের ভাগের জমি অন্যে ভোগ করে কিভাবে?
তিনি থাকলে এক মানুষের জীবনের মালিক হয় কিভাবে অন্যে?
তিনি থাকলে সমাজে রাস্তায় সংসদে ঘরে এতো অসংগতি কেন?
তিনি থাকলে ঘরের বউ হয়ে বাইর-জনের জন্য বাচ্চা নেয় কেন?
তিনি থাকলে খাবারের নিশ্চয়তার জন্য রাতের পরীদের কেন এতো চিন্তা?
তিনি থাকলে অন্যার্য অন্যায় অপরাধ করে পার পায় কিভাবে দোষী?


হে ঈশ্বর, তুমি কি চোখে দেখ না?
হে ঈশ্বর, তুমি কি কানে শোন না?
হে ঈশ্বর, তুমি কি বিবেচক নও?
তোমার শেষ বিচারে কার কী লাভ জানি না,
তবে আমার লাভ নেই নিশ্চিত।
কারণ আমি এখনও পাই নি, তখনও পাব না, পাব কি?


তোমার সর্বময় বিচরণ গল্প পড়ে পড়ে তিক্ত হয়ে আছি-
তোমার সঠিক বিচারের গান শুনে শুনে রিক্ত হয়ে গেছি-
এখন আমাকে রক্ষা কর, আমার অধিখার দাও
আমার মর্যাদা দাও সুপ্রতিষ্ঠিত!


মগবাজার, ঢাকা, রাত, ২৮ ফেব্রুয়ারি’১৮