অতি ভক্তি- ভালোবাসা কাল হলো ওর
ও বিশ্বাস করতো ‘এখনও মানুষ আছে
এখনও মানবতা আছে,
ভ্রষ্টরা কেড়ে নেয় নি সব’।


আমি বলতাম, ‘না না- সব কাক কুত্তার দল
কাউকে পাছে বিশ্বাস করিস! কাউকে কাউকে
কোট-প্যান্ট পরা চশমা চোখে জুতসই ভদ্র মনে হতে পারে,
মনে হতে পারে আঁতুরের গন্ধ ওর নাকে- সাবধান’।


ও বলতো, ‘আরে- কী বল এস সব! মানুষ কী এমন হতে পারে?
মানুষতো মানুষের জন্য।
আমি বললাম, তা তো বটে। তবে ওরা নয়-
ওরা কেড়ে খাবে, ছিঁড়ে নিবে- বেশি বুঝবি নে’।


সহজাত স্বভাবে অন্য আপন করে নিয়ে চাইতো
কিন্তু শাপদ কী আর পোষ মানে?
দংশন করাইতো ওদের কাজ। সময় বুঝে
করা হলো বর্ষণ, করা হলো কর্ষণ, করা হলো ধর্ষণ!


ও শিশু, ও নারী, ও মানুষ- অন্যকে বিশ্বাস করেছিল সেদিন,
কিন্তু ওরা সে বিশ্বাস রক্ষা করতে পারে নি, হায়!
ও কিন্তু জিতে গেল জীবন দিয়ে
আর হেরে গেল এই পৃথিবী, এই সভ্য মানুষেরা।


ধিক, শত ধিক- হে সমাজ তোকে
এখনও মানুষের বাঁচার জায়গা হলো না তোর সংসারে!
যারা লম্পট-চোর-বাটপার, তারা তো প্রশংসিত সুউচ্চ মঞ্চে আজ; আর
মানুষেরা খাবি খায় লজ্জ্বায়-ঘৃণায়, দোর এটে বসে থাকে আপ্রাণ ঘরে।


ছোট্ট শিশু হাতে মরে, শীতে মরে- হাড়কাঁপা শীত
তুমি রাষ্ট্রের মহাজন, তুর্কি কোম্বলে শুয়ে গাও কোন গীত?
চোয়ালের পলিশ পাছে নষ্ট হয়, এই ভয়?
জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান তাহলে কার ‘পর বর্তায় হে বদমাইশ?


ইস্কাটন, ঢাকা, বিকেল, ৮ জানুয়ারি’ ১৮