তটিনীর পাড়ে বৈচির বনে
সেদিন আনমনে
এসেছিলে যখন
কপোলে পুঁইয়ের লাল রঙ মেখে, নয়ন
তুলে তাকাতে আমি পারি নি সেদিন
শুধু মনে মনে মন-প্রাণ উজার করে দিয়েছিলাম;
অজুহাতে তোমার রুপালি হাতটি ধরবো ভেবেও
ধরা হয়নি।
জীবনের অনেক কিছুই এমনি করে করবো করবো
ভেবে এখনও করা হয়নি।


আমার অনুপস্থিতিতে- ওই বনে, তটিনীতে
বৈচির ফুল কি গো ফুটে প্রতিরাতে
জ্যোসনায়?
তা দেখে সৌখিন যাত্রী কেউ না’ থেকে নামে কি ওই আঙিনায়?


সোনার বাসর
পায়ে ছড়ায়ে এলাম বহুদূর-
কী পেলাম আ কী হারালাম
আমি যে বুঝি আজ তার প্রতিটি সুর!
তবু পেছনে দরজা আটা
ব্যাকুল হৃদয় ছাড়া আর আছে কী?
সবুজ-সম্ভ্রম হারিয়ে পেয়েছি
পাথরী-প্রেম। তাই নিয়ে রয়ে যাই দূরে আমি একা।
না হয় না রই পাশে, তবু তুমি দেখে রেখ
আমাদের সেই- ‘বৈচির ফুল-বন দেখা’।


ইস্কাটন, ঢাকা, দুপুর, ২৬ সেপ্টম্বর’১৭