একদিন- শীঘ্রই ঢাকার মানুষেরা সূর্যকে হারাবেন,
তখন সুর্যের জন্য প্রার্থনা হবে- ঠিক আদিম মানুষের মতো;
যারা সুর্যকে দেবতা মানতো, আর তার কাছে ভিক্ষে চাইতো জীবনের প্রয়োজন;
কারণ সেদিন এই মানুষদের চাইবার কোন প্রতিনিধি থাকবে না এই শহরে।


নিয়ন আলোতে ভোট হবে- নাগরিকদের অজান্তে, একদম নিশ্চিন্তে- পুরোপুরি ঝামেলা ছাড়া!


কেবল দৃশ্যমান হবে আরও কিছু উড়ালসেতু, মেট্রোরেল, পাতালরেল।
মেঘবালিকাদের স্থান হবে ভবনের উচু ছাঁদ- চাইলেও মাটি তারা স্পর্শ পাবে না কখনো আর!


নিচের জগতের বাসিন্দা হবে কেবল খেটে খাওয়া ও দরিদ্র মানুষের ;
উড়ালসেতু কিংবা উন্মুক্ত বায়ুতে নেঁচে-দলে যাবে ধনীদের ড্রোনযন্ত্র, তখন উপরের জগত ও নিচের জগতের মধ্যে শুরু হবে টিকে থাকার
আমৃত্যু-লড়াই!


এই আঁধারের সুযোগে সূর্যের জায়গা নিবে ইলেট্রিসিটি- সোলার প্যানেল, তখন চাঁদেরা হেসে-খেলে চলে যাবে মানুষের অলক্ষ্যে রাতে!


আরএফএল বা বেঙ্গল থেকে অর্ডার দিয়ে পালিত হবে বসন্ত-উৎসব,
শহরের কানায় কানায় ট্রাফিক আইল্যান্ডে জায়গা নিবে কৃত্রিম ফুলেরা!


মানুষের হাসিও হবে আরও আকর্ষণীয়- কৃত্রিমতায়পূর্ণ। কারণ সার্জারি বিভাগে মানুষের আনাগোনা হবে আরও বেশি- ততোদিনে প্রযুক্তির কল্যাণে।


রাজনীতিবিদদের জ্বালাময়ী ভাষণে তিক্ত-বিরক্ত মানুষ সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করবেন শুধু পরোকীয়াকে উদ্দেশ্য করে হয় তো।


আর, দেশের চলমান লিপিস্টিক গণতন্ত্র সেদিন আরও বেশি আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে: ফেসবুকে টুইটারে টকশোতে! কিন্তু সেদিন কে দেখে কারে-
নষ্টযুগে প্রবেশ করবে ততোক্ষণে স্বাধীনতার স্বপ্ন।


তবে আমি থাকবো কী জানানি না, কবিদের বইয়ের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে; সফটকপি দেয়া হবে, সাথে কিছু ব্যবহার সামগ্রী ফ্রি!


একদিন, শেষ হযে যাবে- আজকের শিশুর সমস্ত স্বপ্ন- বেড়ে ওঠার গল্প। শেষ হয়ে যাবে- ভালোবাসায় গড়ো তোলা নগরী!


ইস্কাটন, ঢাকা, রাত, ২৪ ফেব্রুয়ারি’১৮