আমি মসজিদে যাই
স্রষ্টাকে খুঁজি-
মিনারে, জায়নমাযে-সিজদায়,
আমি মন্দিরে যাই
স্রষ্টাকে খুঁজি-
দেবতার্ঘ্যে, অর্চনা-প্রার্থনায়,
আমি গির্জায় যাই
স্রষ্টাকে খুঁজি-
যাজকের কণ্ঠে- বাইবেলে,
আমি প্যাগোডায় যাই
স্রষ্টাকে খুঁজি-
এপিটাফের পাতায়, মূর্তিতে,
আমি সিনামোমে গিয়ে
স্রষ্টাকে খুঁজি-
তাওরাতের প্রতিটি পৃষ্ঠায়
আমি গুরুদুয়ারায় ভিড়ি
স্রষ্টাকে খুঁজি-
গ্রন্থসাহেব ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেই,
কোথ্থাও নেই কোথ্থাও নেই- কোন ঈশ্বর!


মক্কা-মদিনা হয়ে জেরুজালেম
গয়াকাশী থেকে বুদ্ধগয়া সবখানে গিয়ে পৌঁছাই,
অমৃতসর-কাশ্মীর?-এথা-ওথা
কই? কোথাওতো স্রষ্টার দেখা নাই।


মোহাম্মদ-ঈশা-নানক-কবীর
কনফুসিয়াস-গৌতম বাহক সত্যের
স্রষ্টা সৃষ্টির।
বাহকের বাহক তবে কে আছে আজ আর?


স্রষ্টা কি আজ আশ্রয় নিয়েছেন মক্কায়?
নাকি গয়াকাশী-বুদ্ধগয়া?
নাকি অমৃতসর,
না, জেরুজালেম-মদিনায়?


তবে কি স্রষ্টা দেশান্তর- এই দেশে ওই দেশে?
না, তিনি আজ মৃত-সাগর
জল নেই প্রবাহ নেই?
নাকি স্ট্যাচু লিবার্টি-
চিরস্থির অনড় অচল অসার?


স্রষ্টা- সবখানে: শূন্যে-ব্যোমে
কিশালয়ে, শৈলশিরায়, জলে-স্থলে অন্তরীক্ষে
দিবসের আলোয়, অন্ধেকারের গভীরে, পাহাড়ের চ’ড়ায়।
পেঁচার হৃদপি- থেকে মানুষের হৃদয়ে
মানবতার ভিতর
সবখানেই ঈশ্বর
তুমি অবিনশ্বর।
তুমিতো রঙহীন- বসন্ত
আকাহীন সীমানা,
তুমিতো ঋতুহীন- সৌরভ
অমর-অজর-অক্ষয় চিরদিন,
তুমিতো সর্বত্র-
নিদ্রাহীন অমোঘ সুন্দর।
ঈশ্বর-তুমি-বলে দাও আজ, হে পৃথিবী
এই যুদ্ধ এই সংঘাত এই হানাহানি-ক্লেদ
কোনকিছুই তুমি চাও নি, চাও নি কখনো।
বল, ভোজনালয়ের রুদ্ধ প্রাচীরে বন্দির দুঃসাহস
কভু দেখিও না আর কেউ আমাকে।
বল, আমি বিশ্বের মানুষের
মানবতার দায়-
আমাকে যে চায় শান্তির সৃষ্ট পথে
আমাকে সে পায়।
আমি সকলের সকলে আমার
বিভেদের নাই কিছু অবসর।


০২/০৯/২০১৬
মিরপুর-১০, ঢাকা
দুপুর