শুধু বেঁচে আছি
শুধু বেঁচে আছি
শুধু বেঁচে আছি
শুধু কি না মরে বেঁচে আছি?


প্রতিদিন বাসা টু অফিস
অফিস টু বাসা,
বাসা টু অফিস
অফিস টু বাসা!


প্রতিদিন রুটি রোজগারের দৌড়
প্রতিদিন রুজি রোজকার ভোগ!


আমি কি মানুষ আছি এখনও?
এখনও অনুভূতি কাজ করে আমায়?


আহ, কতদিন আকাশ দেখিনি, কতদিন-
কতদিন মাঠ দেখিনি- সবুজ প্রান্ত,
ঘাসের শিশির, রোদ্রের লুটোপুটি-
রোদ্রে কালচে হয়ে যাওয়া মায়ের হাসি মুখখানি
কতদিন দেখিনা আহা!


মৃতপ্রায় যন্ত্রজন্তু হয়ে শহরের খাঁচায়
কতদিন পড়ে আছি
ধূসর মরুর মত,
মায়া মমতাহীন এক বুভুক্ষ-হৃদয়!


আসলে কি বেঁচে আছি!
বোধগুলো শূন্য মনে হয়
আজ শুন্য মনে হয়
কেবল শূন্য মনে হয়।


দিনান্ত যন্ত্রের মন্ত্র পাঠ করে
ক্লান্ত হয়ে এসির বাতাসে
জীবনকে শূন্য মনে হয়
কেবল শূন্য মনে হয়।


তবু অন্ধকার ছেয়ে গেলে নগরে হটাৎ
অদৃশ্য হাত নেড়ে কে যেন বলে:


‘শেষ এখনও এখানে নয়, নয়;
ওঠ জেগে- মৃত্যুযাত্রী ওই
এখানেই চিতা নয়, এখানেই জেতা নয়,
জীবন এখনও অনেক দূর বহুদূর বাকী।’


ইস্কাটন, ঢাকা, বিকেল, ৪ জানু’১৭