পথের ধারে নিহতবিবস্ত্র পথিকের চোখ বেয়ে পড়া দু’ফোটা অশ্রুর মত
ঝড়ের রাতে ঝোঁপের পাশে পড়ে থাকা মৃত শালিকের পালকের মত
চৈত্রে শুকিয়ে যাওয়া একদা-উত্তাল তটিনীর জলের মত
অথবা শূন্যসন্ধ্যায় ম্লান হওয়া অস্তিমিত রবির মত-
র্নিলিপ্ত অন্তরাত্মা আজ- ভাবনাহীন ভালোবসাহীন।
কোথাও নেই কোন সাড়া তার, কোথাও নেই কোন তাড়া তার।


বিরহের ‍অগ্নিস্নানে ধৃত মৌনমন-
সাড়া খুঁজে পাবে কি সে আর কখন্?
রাজন্যহীন রাষ্ট্ররানী শোভা ভার-
বিদায়তরণী এসেছে ঘাটে উঠিতে হবে এবার!


ওই পাড়ে বাঁজে বীন- থাক পড়ে এথা ঋণ
ব্যোমকেশ ধরি কাঁদি- শূন্যে মেলায় ’রব
অশ্রুসজল নয়নে বাদল- মঙ্গলারতি করি তবু
তোমার এ গন্তব্য ব্যর্থ নয়, এ যে তীর্থযাত্রা-নব।


মিরপুর, দুপুর, ৮ মার্চ’১৭