সামন্ত সমাজ ছেড়ে এলেও সামন্তবাদকে কী ছাড়তে পেরেছি আমরা?
শাসন ও শোষনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত আমরাও কী শিখিনি অত্যাচারের কলা-কৌশল?
দেশে আর টাকা রাখা নিরাপদ নয় বলে দূরদেশে ব্যাংকে-পকেটে অর্থ-বিত্ত জমাতে কী ভুল করি আজ?
বন্দুকের নলে দূরবীণ দিয়ে দেখা হয়- কোথায় কোন বিদ্রোহ হয়!
সাবধান! কথা বললেই খবর আছে আজ।


পুলিশের পোশাকে-বুকে রাতারাতি সেলাই হয় নতুন আরেকটি পকেট,
তাহলে কী আরও বেশি নিরাপত্তা দরকার হয়ে পড়ছে জনতার?
নাকি, মুখের কথা পেটে ঢুকিয়ে দিতে বুলেটের প্রয়োজনীয়তা এ?


দুধহীন শিশু কেঁদে উঠে ঘুমঘরে-
মানবতা ঠুকরে মরে রাজপথে-ফুটপাথে-
দেহকে বাঁচাতে দেহকে বিলিয়ে দেয় অবলা নারী-
কোথায় আছি আমরা আজ!
উন্নতদেশের মহাসড়কে বলছি- বাংলাদেশ।


রাত হলেই শুরু শেয়ালের হাক-ডাক-
রাত হলেই মাস্তিতে জমে ওঠে পন্ডিতদের আড্ডা-
তারপরও দেশে অনাহারে মরে কেন মানুষ?
তারপরও দেশে কেন সাম্যের বিচারের জন্য কাঁদে জনতা-হৃদয়?


৭১’র ৩০ লাখ মানুষের রক্ত কার চোখে জল এনে দিলো- প্রশ্ন জাগে আজ.
স্বাধীনতা কার জন্য সম্পদের দ্বার খুলে দিয়েছে?
তাহলে এদেশের শ্রেণি বিভক্তি ঘোচাতে আবার কী আরেকটি স্বাধীনতার দরকার!
তখন কে রক্ত দিবে দেশের জন্য? কে? আমি তাকে খুঁজে চলেছি নিত্য।


ইস্কাটন, ঢাকা, বিকেল, ৬ মার্চ’১৮