সেদিন- ভালোবাসা এসেছিল এই মরমী জীবনে
বাসন্তী সাঁজে সে বিপুল বিশাল আয়োজনে।
ঘোমটা তুলে নত হয়ে বলেছিল সে আমায় সেদিন-
‘যা আছে আমার ঐশ্বর্য-রুপ সবই তোমার, তুমি তারে নাও দু’হাতে
উজাড় করে। যতো পার ভরে নাও বুক জুড়ে কোল জুড়ে। কেন
অবহেলা কর? অহরাতে
তোমার স্বপ্ন তো ঘুম জাগে আমার। কেন তবে
গ্রহণের এই ক্লান্তি? নাও যত নিতে চাও- সবে।
গ্রহণের ক্লান্তিতে পেয়েছিল তখন
চাই নি যতো পেয়েছিলাম তেমন।
সেদিন অবহেলা করে হারিয়েছি তারে,
সেদিন বেশি ভালোবেসে হানিয়েছি তারে আমি।
যে ঐশ্বর্য না চাইতে আসে, বার বার আসে
তাকে কে ভালোবাসে ভালোবেসে?
হাত দিয়ে তুলে তারে ঘোমটা স’রে
বলিনি’ক ‘ভালোবাসা‘ থেক চিরদিন বুক জুড়ে।
কেবল হেলা করে চেয়েছি তারে
হেলা করে গেঁথেছি চোখে আমার কান্নার মালা,
সেদিন জড়ায়ে ধরে বলেছিল সে
‘ভালোবাসায় এতো জ্বালা
জানা ছিল না যে!’
তখন বিষাদের জলে
তরী তার দিয়েছি দূরে অকূলে ঠেলে
তারপর সে আর ফেরেনি‘ক ‘বার
তারপর থেকে হারিয়েছি ভালোবাসার সমস্ত অধিকার।
বিজনে বসে জপি সেই প্রিয় নাম আজ
সে যে নিত্য সুখের সংযম!
বলি মনে, আসবে কি ফিরে তরী- আসবে কি সে আর?
আজ পথ চেয়ে থাকা ছাড়া নেই যে কিছু করার!


মিরপুর, ঢাকা, ভোর, ৮ জুন’১৭