অদ্ভুত সমাজ এ এক
শ্রীহীন অপরূপ,
বাইরে রম্য বিলাসিতা এর
ভেতরে শূন্যসার।


এ সমাজের চোখ নেই
দেখার- সে অন্ধ,
এ সমাজের কান নেই
শোনার- সে কালা,
এ সমাজের নাক নেই
গন্ধ নেয়ার- সে নাস্যহীন,
এ সমাজ মস্তিষ্কহীন
আজব- অসার।


এ সমাজ-
কে না খেয়ে আছে মরে পথে- ভুখা ফাঁকা
দেখতে চায় না তাকে,
কে চিৎকার করছে মন্দিরে-রাস্তায়
অধিকারের জন্য- রক্তাক্তম্লান
কথা শুনতে চায় না তার,
কে মরে আছে পঁচে আছে
রাস্তার পাশে বস্তার ভিতর অনেক দিন
নাম পরিচয়হীন
চিনতে চায় না তাকে।


এ সমাজ-
ধর্ষিতা কিশোরীর মাথায় হাত বুলাতে জানে না
শ্রমিকের মজুরির পক্ষে কথা বলতে পারে না
এ সমাজ ভীতু- অদৃশ্য শক্তির,


এ সমাজ-
বাবার অশ্রুর মূল্য দিতে পারে না
মায়ের মলিন বদনে হাসি ফুটাতে জানে না
এ সমাজ ব্যর্থ- বিফল,


এ সমাজ-
বেকারদের জন্য বয়ে এনেছে অভিশাপ
লক্ষ বেকারের গলায় অদৃশ্য ফাঁস দিয়েছে ঝুঁলিয়ে,
প্রেমিকার বাহুতলে প্রেমিককে শান্তিতে ঠায় দেয় নি
বাসর-মিলন-বন্ধনের;
এ সমাজ- অকেজো।


এ সমাজ প্রাণহীন কলকজ্বা
শোষন-শাসনই যার একমাত্র হাতিয়ার,
ভালোবাসাকে শিকায় রেখে ভেঁধে
মানবতা-মনুষ্যত্বকে করেছে পঙ্গু-অসার।


যেখানে মানবতা নেই প্রেম নেই
সে সমাজে ভালোবাসা কেনাবেচা হয় টাকায়
এটি যা-ই হোক, কোন সমাজ নয়
সমাজ তো মনুষ্যত্ব বোঝে- মানবতার গান গায়।


এ অদ্ভুত সমাজ ধ্বংস হোক
নিশ্চিত পরাস্ত হোক ধূলায়।


মিরপুর, রাত, ১০ মে’ ১৭