গণতন্ত্রের নামে কুর্দিতন্ত্র কিংবা চামচাতন্ত্রে বশীভূত শকুন
কুরে কুরে খায় এদেশের সাধারন মানুষের যকৃত  
নেই প্রতিকার, নির্বিচারে চলে অবিচ্ছিন্ন অবিচার
মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ শাসনের ভারে
এই দেশ যেন অভিশপ্ত ককেশাস
এরা খেয়ে নেবে সব ভূমি, নাড়ী, বাড়ী, মাটি সব।


আত্মার ভীড়ে পঁচা গন্ধে ফুলে উঠে দেশ  
ভৌগোলিক অপ-রাজনীতির করাল গ্রাসে ভৌতিক অনুভূতি  
দেশের রন্দ্রে রুন্দ্রে  
পোষা সরকার আর কুর্দিওয়ালাদের ভয়ে
ভীত সন্ত্রস্থ শিশু বেড়ে উঠে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে
কিংবা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায় যুবকের যৌবন
ধীরে ধীরে অপ্রকৃতিস্থ হয় প্রতারিত কুমারী হৃদয়
শুধু বড় হয় ক্ষ্যামতালোভী খাদকের পাকস্থলী
আর বেড়ে যায় বিরূপ বাহানার বাহাদুরি।


হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্দ হয়ে যে লোকটি মারা গেল
তার জন্য এ দেশের কুশাসনই দায়ী
যে পিতাকে সন্তানের লাশ দেয়া হয়নি
তার জন্য এ দেশের লেবাসতন্ত্রই দায়ী
যে জাতির ঘরবাড়ি প্রশাসনের সামনেই পোড়ানো হয়
তার জন্য পাহাড়ের ভেলকিবাজতন্ত্রই দায়ী
ধীরে ধীরে রাগে দুঃখে ক্ষোভে আমিই সাক্ষ্য দিচ্ছি
আমার নাতিদীর্ঘ জীবনের জন্য বলাৎকার শাসনই দায়ী।


আমিই সাক্ষ্য দিচ্ছি-
ধীরে ধীরে প্রতিরোধের নেশায় নিষিক্ত হচ্ছে রক্ত
প্রতিবাদের আগুনে।
আমিই সাক্ষ্য দিচ্ছি-
ধীরে ধীরে স্বাধীনতার খোঁজে স্বানুবদ্ধ হৃদয় আমার
শুধু তোমার কারণে, হে বাংলাদেশ! তোমাকে ভালবাসার কারণে।
শুধু তোমার ভালবাসায় ব্যাসক্ত হওয়ার কারণে-
একদিন আমি হয়ে যাবো হিংস্র নরখাদক।।