গ্রীষ্মের কোন তপ্ত দুপুর বেলায়
একটি অচেনা গাঁয়,
মহা উল্লাসে কৃষকেরা নাঙ্গা পায়।
ফসলের ক্ষেত, ফুল-পাখি আর বাঁশবন
বলল, তোমায় সাদর আমন্ত্রণ।
পথেনগর; আমার কল্পগ্রাম,
যখন জন্মে ছিলাম।
বর্ষায় কোন বৃষ্টির দিনে
বারিধারা; সবুজ ঘাসের ঋণে,
ঝড়ে মাটির জমিনে।
আমায় সোদামাটি ঘরে
নিবীড় যত্নে লালন করে
আপন অক্ষে ঘোরে বাংলার গ্রাম।
যখন জন্মেছিলাম।
শরতের কোন স্নিগ্ধ সকালে
জেগে উঠা কৃষাণীর দলে,
পাখিদের কলরোলে,
মৃত এক নদী তীরে
লোকালয় গড়ে আমায় ঘিরে,
অচেনা সৃষ্টির ঘোরে বাংলার গ্রাম।
যখন জন্মে ছিলাম।
হেমন্তের কোন পরিচিত ফুল গাছে,
আমার আঙ্গীনার কাছে
ভোমরা পোকারা নাচে।
গ্রহনের কাল; অমাবস্যার মাঝে,
আমায় রেখেছে কোমল ভাজে
বহু দিন মাস যুগ ধরে বাংলার গ্রাম।
যখন জন্মে ছিলাম।
শীতের কোন এক মেঠো পথ ধরে,
সেই পরিচিত স্বরে;
মায়ের আচল ভরে,
স্নেহমাখা নিরাপদ কোলে
আমায় নিয়েছিল তোলে
কোন এক প্রত্যাশিত ভোরে বাংলার গ্রাম।
যখন জন্মেছিলাম।
বসন্তের কোন সুন্দর গোধূলিতে;
দুটো কচি হাত পেতে;
সবুজ ধান ক্ষেতে,
যখন ছিলাম ক্লান্তিতে চোখ বুজে,
সেদিন ছুটেছিল আমার খোজে
পৃথিবীর মানচিত্র জুড়ে বাংলার গ্রাম।
যখন জন্মে ছিলাম।