ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরছে বাথরুমের শাওয়ার বেয়ে,
ঠিকমতো বন্ধ হয়নি বোধ হয়!
কাউন্টডাউন শুরু হলো এইবার,
৯-৮-৭-৬... শূন্যে এসে মিলিয়ে গেছি পরস্পর;
আকাশ থেকে উল্কাপিন্ড নামে,
মাঝে মাঝে পুষ্পবৃষ্টি হয়,
বৃষ্টিস্নাত সূর্যমুখীর পাপড়ি,
সর্ষেক্ষেতে সহসা লাগে ঢেউ---
সাবানের মতো আমার আত্মা
তোমার সর্বাঙ্গ লেহন করেছে,
পবিত্র বুকের উপত্যকা থেকে নেমে
যখন দুই ঊরুর মাঝে
আদর করেছে প্রস্ফুটিত তীব্র যৌনাঙ্গকে,
ছুঁয়েছে ক্লিটোরিস,
পারদের মত শিরশিরিয়ে-টলমলিয়ে উঠেছে
ওই সারা শরীর,
এমনকি নখ ও চুলের কোশ-ও!
বুক চিরে দরজা খুলতেই
কোথায় হনু আর কোথায় সীতা-রাম?
ঝাঁঝালো মদের গন্ধ এবং সস্তা চুরুটের ধোঁয়া
দমবন্ধ করে দেয়,
ঘুমের বড়ি খয়ে আমি আচ্ছন্ন তারপর...
গোলাপ ফুল শুকিয়ে মরুক ব্লেকের কবিতায়,
পাপবোধের আলোচনা চুলোয় যাক্,
তবুও আমি, আমরা
গোলাপচারার তন্ত্র সাধনা করছি অনবরত
মরার খুলি-হাড় নাচছে ছন্দলোপ করে।
মার্ডার---
কার মাথায় হেঁইয়ো জোরে কে বসালো কাটারি?
রক্তে ভাসছে চেতনা।
আমার একাকীত্বের রান্নাঘরে
মা ভাজছে বেগুন,
খরগোশগুলো সমানে পায়ে-পায়ে বিরক্ত করছে,
মা, কিছু বলো?
(যেন পরম আশ্রয়!)


রবীন্দ্রনাথ বেশ হেঁটে-চলে গান গাইছিলেন;
হঠাৎ ইজিচেয়ারে বসে বার্ধক্যের খকর-খকর কাশি,
চোখ বুঁজে দেখছেন যুগ শ্রেষ্ঠ আইনস্টাইনকে,
ফ্রয়েড কিংবা রমাঁ রলাঁকে,
ভাবছেন, কেমন আছেন বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধি?
মাথায় তখন সুনীলের শ্রদ্ধা ও শক্তির স্নেহের হাত...


কুমার বোসের তবলা ক্লাস
বা আলি আকবর-রবিশঙ্কর যুগলবন্দী
আরও খানিকক্ষণ চলতে পারতো---


কিন্তু,
সকাল সওয়া ছ’টার অ্যালার্মে ঘুম
আর আমার স্বপ্ন দুটোই বিলকুল মাঠে মারা গেলো।