তোমার জন্য সঙ্গোপনে, একলা আমি উদাস মনে,
অল্প ভাঙ্গা গল্প লিখি জ্বালিয়ে আলো মাঝরাতে।
ভাবছি তুমি আঘাত দিলে, কিসের নেশায় মিশবো নীলে,
(আমি) ঘাসের ওপর খুঁজবো শিশির হাতটা ধরে কার সাথে!


নরম আলোয়, বিকেলবেলায়, তোমায় খুঁজি শিমূলতলায়,
মুচকি হেসে রক্তশিমূল ঝরায় পরাগ কার গায়ে?
প্রেমের আগুন নিভবে যেদিন, কাঁদবো আমি - ভাববো সেদিন,
চুপটি করে বিকেলবেলায় পরাই নূপুর কার পায়ে!


কলেজঘাটে কোণের ধাপে, নিয়মিত আর সহজভাবে,
জাপটে আমায় ধরতে তুমি কি যেন এক অলীক সুখে!
(জানি) একটা সময় বাসতে ভালো, উফ! সেই চোখদুটো! কাজল-কালো,
আজ নরম হাতের আদর পেতে রাখবো মাথা কার বুকে?


তখন, থাকতো ঠোঁটে মিষ্টি হাসি, হাঁটতে আমার পাশাপাশি;
ছিলো অভিমান, হাজার নালিশ; জানো? জমতো সেসব কোনখানে!
আজ সময় আমার প্রমাদ গোনে; ছিলে, আছো, থাকবে মনে,
(তুমি) বুঝবে মানে পথ হারানোর নকল প্রেমের মাঝখানে।


আমি ছোবল খাওয়া ক্লান্ত কবি, তোমার-আমার শান্ত ছবি,
নিপুণ হাতে সাজিয়ে রাখি টুকরো স্মৃতির অ্যালবামে।
(যেদিন) আঘাত পেয়ে খুঁজবে স্নেহ, মিলবে কেবল নিথর দেহ,
মিলবেনা আর সূক্ষ্ম স্নেহ হারিয়ে যাওয়া লাল খামে।


শেষ নিঃশ্বাসে খুঁজবো তোমায়, শেষ স্বপ্নেও দেখবো তোমায়;
যখন, আয়না দেখে অবাক সময় অঙ্ক কষে হটাৎ থামে,
জীবন-স্রোতের শেষের ঘাটে, জ্বলবো সেদিন শুকনো কাঠে,
শেষ অশ্রুও ঝরবে শুধু তোমার জন্য, তোমার নামে।