হয়তো নিঃশব্দে ডুবলো আশার শেষ সূর্যটা আজ,
নিলয়ে, অলিন্দে চাপা অশান্ত কিছু সংবহনের আওয়াজ;
কক্ষপথচ্যুত আমি, জানি না আজও - কেন এ ক্রন্দন উদাসী,
বেড়েছে ব্যবধান যোজনের অঙ্কে; তবু কনিষ্ঠা ধরে হাঁটি পাশাপাশি।
আজ কৃত্রিম লাগে সব বাণীর বুলি, হোক না সেটা অথর্ব কিংবা ঋক্,
আয়না দেখায় ক্রুশবিদ্ধ 'আমি'; অস্ত্রহীন, বীতাগ্নি, তবু জ্যান্ত, নির্ভীক।
শূন্য হল এ মনের দোয়াত, তরল আগুনই এখন একমাত্র পুঁজি,
ব্যর্থ চেষ্টা, বুঝবিনা তুই, কেন আজও তোকে পাশের বালিশে খুঁজি!
নাই বা ঝরালি শেষ শিউলিটা, নাই বা নেভালি শেষ আলেয়ার আলো,
নাই বা পোড়ালি শেষ স্বপ্ন আমার, ক্যানভাস আজ নাই বা হল কালো!
তবু বালিঘড়ি বলে - আশা আছে আজও; সেই অজুহাতে আমি আশার উঠোনে নাচি;
কুঁকড়ে আছে তোর স্মৃতির অ্যালবাম, এই স্মৃতিকেই আজ পাথেয় করে বাঁচি।
বেঁচে থাকবি তুই তুলির টানে, নষ্ট হতে তো এখনো অনেক তুলি বাকি,
ক্লান্ত হই না রে, ইচ্ছে করে - তোকে নিয়ে আরো অনেক কিছু আঁকি।
প্রতিরাতে তুই ঘুমোবি বুকে, নিঃসাড়ে, নিশ্চুপ হয়ে গোপনে নিভৃতা,
ভয় পাস না, পাহারা দেবে অতন্দ্র আমার হৃৎপিণ্ড নামক চিতা।
শেষ পংক্তি এলো, এলো চোখে জল, আর ছেঁড়া কাগজে অসংলগ্ন কিছু লেখা,
সময়ের টানে, যদি কেউ কোনদিন মানে; সুদীপ্তা, তবে আবার হবে দেখা।