ভোর হলেই বেড়িয়ে পরে সে ।
নদীর ধারে তার ই বয়সী -
কিছু বন্ধুদের সাথে ।
আগের রাতে নদীর জলে -
ভেসে আসা শিশি ,বোতল -
কচু ,কাঠ,বাঁশ যা পায় ;
বস্তা বন্দি করে ফিরে চলে ,
বেচে দেয় ফেরিওলাকে ।
কিছু আয় হয় ।
কিছু দেয় মায়ের হাতে ,
আর বাকিটা ধোঁয়ায় !
একই ভাবে আবার সন্ধায় ।
একদিন ডেকে বলি ;
ঐ কি নাম তোর ?
চোখ গোল করে -
কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে;
মা ডাকে ননু বলে ,
বাবা ডাকে ঘ্যাঁচা ।
তা তুই স্কুলে যাস না ?
যাই তো; যখন খিচুড়ি দেয় ।
আর পড়াশোনা ?
না ; ভালো লাগে না !
মাষ্টার টা বড্ড রাগি ;
খালি মাথায় মারে গাঁট্টা !
ভালো লাগে না পড়তে তাই ,
শুধু খিচুড়ি খেতেই যাই ।
তা তোর বাবা মা কি করে ?
বাবা ঐ আড়তে কাঁটা ধরে ।
আর মা ?
কিছুটা চুপ করে যায় !
ছোট্ট ছেলে টা ;
বয়স কত সাত আট !
মাথা নিচু করে আসতে আসতে বলে ,
মা বাড়িতে লোক ডেকে আনে !
আমিও চুপ হয়ে যাই !
মনে পড়ে কাছেই নিষিদ্ধ পল্লী ।
বড় চিন্তা হয় এদের ভবিষ্যৎ ভেবে ।
এরা কালের নিয়মেই হারিয়ে যায় !
হয় অন্ধকার সমাজের শিকার !
আর সভ্য মানুষ শুধুই নির্বিকার !
আমার সন্তান যখন কম্পিটারে ওস্তাদ ।
ওদের জীবন তখন শুধুই বরবাদ !
আমরা মাথা উচুঁ করে , তাচ্ছিলের সাথে বলব !
ওরা বেজন্মা , ওরা নষ্ট ফসল ।
ওদের জন্য অন্ধকার থাক ,
থাক হলাহল !!