দিনটা ছিলো কোজাগরী ।
তখন গভীর রাত ;
মূর্তি নদীর তীরে সেই -
একাকি ব্রীজটার উপর;
তোমায় দেখেছিলাম !
তখন পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়েছে ;
শুধু জেগে আছি আমি তুমি-
আর ঐ দূরে মূর্তি নদীর ;
ছলাৎ ছলাৎ জল কল্লোল ।
তোমার আভায় তখন মূর্তিও -
হয়ে উঠেছে পূর্ণ যৌবনা !
আমি অনেকক্ষণ ধরে তোমার দিকে-
চেয়ে থেকে ছিলাম !
ছোট বেলা থেকে কতবারই তো-
তোমায় দেখেছি !
তার কোন হিসেব নেই !
কিন্তু আজ যখন ;
সভ্যতা থেকে একটু দূরে ,
লাটাগুড়ির রিসর্ট গুলোকে -
পিছনে ফেলে শুধু তোমার আকর্ষণে;
মোহবিষ্ট প্রেমিকা আমি,
তোমার সমুখে হারিয়ে ফেলেছি;
আমার সকল লাজ !
হয়ত এমনই হয় !
তোমায় নয়ন ভরে দেখেছিলাম !
গরুমারা অরণ্যের মাথায়-
তোমার শশী মুখ ।
না ; কোন কলঙ্ক দেখি নি !
দেখেছি তোমার সারাদেহে-
প্রেমের আল্পোনা;
তুমি ওষধীনাথ , আমার নয়ন সুখ ।
তোমার মায়াময় রূপজ্যোতি,
ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বনাঞ্চল;
তুমি অপরূপ, তুমি অমৃতাংশু ।
তুমি সুশোভন , তুমি কামী;
তুমি শীতাংশু ।
আমার হৃদয়ে তুমি এনেছিলে;
আমার নব প্রেমের অভিসার ।
আমার ভালোবাসা ,
আমার নিভৃত শৃঙ্গার !
সেদিন মূর্তিনদীর তীরে-
হয়েছিল প্রথম শুভোদৃষ্টি;
আমার শাশ্বত ভালোবাসার ।।