কবির মৃত্যু


গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি কবি দেবাশিস সেন মহাশয়ের অকালমৃত্যুর খবরে। খবরটি আমি 'এশিয়ান এজ' পেপারে গত ১৭ই ডিসেম্বর সকালেই (http://www.asianage.com/mumbai/mentally-ill-woman-kills-husband-957 ) পড়েছিলাম । কিন্তু উনি যে আসরের প্রখ্যাত কবি দেবাশিস সেনই, সেটা তখন জানতাম না। আসরের এক কবিবন্ধু আমার সাথে যোগাযোগ করার পর এ কথা জেনে যারপরনাই ব্যথিত হয়েছি। উনার বহু কবিতাই আমি বিভিন্ন সময়ে পড়েছি। গত ১৬ই নভেম্বর উনার প্রকাশিত 'সুখ' কবিতায় আমি আমার সশব্দ মন্তব্য (http://www.bangla-kobita.com/debasish/post20141116061148/ ) রেখে এসেছিলাম। সেটিই যে দেবাশিস বাবুর সজ্ঞানে দেখা আমার সর্বশেষ মন্তব্য, সেটি ভেবেই মনটা এক অবাক অনুভবে ভ'রে উঠেছিল। কষ্ট পেলাম। বেশ কষ্ট পেলাম।


তবে, যে কোন মৃত্যুই আমাদের সবার জীবনের সব থেকে সুনিশ্চিত এক সত্য। অবশ্যম্ভাবী এক বাস্তবতা। অলংঘ্য এক বিধিলিপি। বলা হয়, ঈশ্বর যাকে একটু বেশি ভালোবাসেন, তাঁকে একটু তাড়াতাড়িই ডেকে নেন হয়ত, তা' সে যে পথ ধ'রেই সেই অভিগমন হোক না কেন। দেবাশিস বাবুর মৃত্যু-পথটিও বেশ দুর্ভাগ্যজনক। তবে, সে তো তাঁর নশ্বর দেহখানির মৃত্যু। উনি তো বেঁচে রইলেনই এই আসরে তাঁর সৃষ্টির হাত ধ'রে। উনার কবিতার পাতায়। উনার কবিতার অক্ষরগুলো দিয়ে সাজানো পঙক্তির পরতে পরতে।


আমাদের ভেঙে পড়লে তো চলবে না। বেশি হৈ চৈ দিয়ে নয়। চেঁচামেচি নয়। আনন্দজনক হোক বা বেদনাদায়ক, যে কোন ঘটনাই তো আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। দেবাশিস বাবুর মৃত্যুর ঘটনাটি আমাদেরকে আরো বেশি বেশি ক'রে জীবনমুখী ক'রে তুলুক। আরো বেশি বেশি সুন্দর মনোভাবের মানুষ হওয়ার পথে উৎসাহ দিক। আরো বেশি বেশি চারপাশের মানসিক অসুস্থতাপূর্ণ মানুষজনের মোকাবিলা করতে শক্তি জোগাক। আরো বেশি আমাদের সৃজন আর মননকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করুক। আরো বেশি বেশি আমাদের সুশৃংখল ও সুগঠিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হ’তে অনুপ্রেরণা জোগাক। তবেই হবে, তাঁকে নিয়ে সদর্থক স্মরণ।


কবির স্মরণে কবিতা বা আলোচনা সভার আয়োজন নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য প্রয়াস। কিন্তু সব থেকে হৃদয়গ্রাহী স্মরণ মনে হয়, নীরবে তাঁর পাতায় কিছুটা সময় বিচরণ করা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে চেনার অপূর্ণতাকে (যার বেশিটাই অনিচ্ছাকৃত, ধ’রে নেওয়া যেতে পারে) যতখানি সম্ভব পূর্ণ করাতেই তো সত্যিকার কবি-স্মরণ। শুধু তাঁর শেষ কবিতাটিই নয়, ‘পরিচয়’ বা ‘অভিমান’-এর মত তাঁর ৩৬১টি কবিতার কতগুলির সাথেই বা আমরা এই ক’দিনে পরিচয় করার প্রয়াস নিলাম, তা’ দিয়েই প্রকৃতপক্ষে প্রমাণ হয় আমরা কতখানি তাঁকে স্মরণ করলাম।


আমাদের কবিতার আসর


কিছু ভালো


প্রকৃতির কোন আশ্চর্য নিয়মেই হয়ত, একটি জীবন আমাদের যতটা না আন্দোলিত করতে পারে, তার চেয়ে অনেক বেশি পারে একটি মৃত্যু। কবিবর দেবাশিস সেনের মৃত্যুতে আসরে যে আন্তরিক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেল, তা’ একই সাথে অনেকগুলি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমতঃ এই আসর যতই ভার্চুয়ালিটির আঙ্গিকে মোড়া থাক, এখানে প্রাণের স্পন্দন, অনুভূতির আলোড়ন কিংবা চেতনার আবহসংগীত যে অতি বাস্তব, তা’ বিগত কয়েকদিন আসরে যারাই নিয়মিত থেকেছেন, তাঁরাই অনুভব করেছেন নিশ্চয়। দ্বিতীয়তঃ এ এমন এক পরিবার যেখানে সবাই একে অন্যকে চাক্ষুষ না দেখলেও, বাস্তবিক না চিনলেও, কি সুন্দর এক বন্ধনে জড়িয়ে সবাই তাও স্পষ্ট হয়েছে সহজেই। আর সর্বোপরি, এ এমন এক মানবিক আসর যেখানে প্রকৃতির নিয়মে সৃজনকারীর নশ্বর দেহের মৃত্যু যতই ঘটুক না কেন, তাঁর সৃজনশীল প্রয়াসগুলি আরো বেশি হৃদয়ের কাছাকাছি এসে যায়। স্রষ্টা তত বেশি  উদ্ভাসিত হয়ে বেঁচে থাকেন তাঁর সৃষ্টির আলোকময়তায়।


কিছু মন্দ


এ কথা অনস্বীকার্য যে, মন্দের উপস্থিতি ছাড়া ভালো কিছুকে প্রকৃতপক্ষে অনুভব করা কঠিন। আমাদের সৃজনশীল এই সুন্দর আসরেও তাই কিছু মন্দ দিক চোখে পড়ে বৈকি! খারাপ লাগে নিশ্চয়, তবে এতখানি নয় যে দমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। যে কোন কাজেই সুবিধার দিক যেমন থাকবে, বাধাও থাকবে অনেক। একটি পরিবারের সব সদস্য এক ও অভিন্ন সুন্দর মনোভাবাপন্ন হবে, এ ভাবাটাই ভুল হবে। সুন্দর, কম সুন্দর, অসুন্দর ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের মানসিকতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বাংলা কবিতা ডট কমের মত সুন্দর পরিবারের কর্তাটির থেকে এ কথা ভালো ক’রে আর কেই বা বুঝতে পারবে!


আমি আজ বেশ কিছুদিন পরে আসরে কিছু সময়ের জন্য এসেছি। একটু পরেই বেরিয়ে যাব। আশা করছি ইংরেজী নতুন বছরে কিছুটা নিয়মিত হ’তে পারব। তবে, আজ আলোচনাসভায় এসেই আমার প্রথমেই চোখ পড়ল কিছু লেখায় যা’ পোস্টের আকারে এখানে না দিয়ে সরাসরি এডমিনের সাথে যোগাযোগ করা যেত। আমি আসরে অনিয়মিত থাকি বলে এমনিতে এখানের অনেক ঘটনাবলী বুঝতে সময় লাগে। তবে, কেউ লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, একজন কবিতাপ্রেমী পাঠক ও এই আসরের এক শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে, যখনই ও যেখানেই সুযোগ পেয়েছি, আসরের সৌন্দর্য ও ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখার ব্যাপারে আমি আমার সাধ্যমত (অনেক ক্ষেত্রে অযাচিতভাবেও) বলার প্রয়াস নিয়েছি।  কবিতার আসরে তো সৃজন আর মননের মাধ্যমে সুন্দরের প্রসার ঘটবে শুধু। তাই আলোচনা সভায় সেই সব পোস্ট বেশি বেশি কাঙ্ক্ষিত মনে হয়, যা’ আলোচনাকারী ও শ্রোতাদের প্রত্যেককেই সুন্দরের অভিমুখে প্রেরণা যোগাবে। যদি এমন কিছু পোস্ট এখানে আসে, যা’ শ্রোতাদের মধ্যে অহেতুক বিভ্রান্তি ও বিরূপ মনোভাবকে উৎসাহিত করে, সে তো শুধুই অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বিপদজনকও বটে। আর এ কথা আমরা অস্বীকার করতে পারব না যে, আমি কি বলছি ও কেন বলছি সেটা নিয়ে শুরুতেই আমি নিশ্চয় ভেবে নিয়েছি। তাই কিছু পোস্ট করার আগে, আমি এ কথাও জানব নিশ্চয় যে, আমি সুন্দরের প্রসার ও প্রচার চাই, নাকি সুন্দর পরিবেশের অসুন্দরতা।  এ কথা ভুললেও চলবেনা যে, আমি যা কিছু পোস্ট করব, তা’তে আমার বক্তব্য যেমন পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে, তেমনি আমার মনের সুন্দরতা, উদারতা ও ঐকান্তিকতা নিয়েও একটি ধারণা যাবে তার সাথে সাথে।


সব কথা চিৎকার ক’রে বলার মত হয় নাকি! কিছু কথা যেমন, সবার মাঝে বলা যায়, কিছু কথা নিভৃতে বলা যায়, তেমনি কিছু কথা শুধুই কানে কানে বলা যায়। আর এই তফাৎগুলো আমি যদি মেনে ও বুঝে চলি, তা’তে আমারও যেমন ভালো, আমি যে পরিবেশে বিরাজ করব, তারও ভালো।


কিছু করণীয়


এই আসরে আমার বয়স ৯ মাস মাত্র। এখানে বিরাজমানতার নিরিখে, আমার থেকে বেশি সময়ের অভিজ্ঞ বহু সদস্য/সদস্যা এখানে যেমন আছেন, অনেকেই আছেন আমার থেকে কম অভিজ্ঞতা নিয়ে। আসরের সৌন্দর্যের স্বার্থে কিছু অবশ্যকরণীয় উপায় মেনে চললে আসরের অনেক অনাবশ্যক হৈ চৈ এড়ানো সম্ভব ব’লে, আমি বিশ্বাস করি।


১) যে কোন পাতার এক্কেবারে নিচে দেওয়া ‘বিজ্ঞপ্তি’ শীর্ষক লিঙ্কে (http://www.bangla-kobita.com/notice/ ) গিয়ে সমস্ত প্রকার বিজ্ঞপ্তিতে খুব ভালো ভাবে চোখ ও মন বুলিয়ে নিলে, আসরের বহু নিয়মকানুন সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়, যা’ বিভিন্ন সময়ে আমাদের মনে জেগে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়।


২) এছাড়া স্বয়ং এডমিনের পাতাতেও (http://www.bangla-kobita.com/admin/ ) অনেক পোস্ট পাওয়া যাবে, যা থেকে বহু প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা পেতে পারি।


৩) আসর বা আলোচনা সভার প্রতিটি পোস্টের পাতাতেই ‘অভিযোগ করুন’ শীর্ষক লিঙ্কে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্ট নিয়ে আমাদের মনে এসে বাসা বাঁধা প্রশ্ন বা বিস্ময় বা কৌতূহল নিয়ে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। মাননীয় এডমিন এ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেন বা ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন।


৪) আসরের কোন বিশেষ ঘটনা বা এডমিনের কোন বিশেষ কার্যকলাপ নিয়ে কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে, প্রতিটি পাতায় ‘যোগাযোগ করুন' শীর্ষক লিঙ্কে (http://www.bangla-kobita.com/contact/ ) গিয়ে বক্তব্য পেশ করা যায়। এখানে যোগাযোগে কোন অসুবিধা হ’লে, admin@bangla-kobita.com আইডিতে সরাসরি মেল করা যায়।


এ কথা মাথায় রাখা ভালো যে, এডমিন মহাশয় নিজেও যেহেতু খুবই ব্যস্ত মানুষ, তাই তাঁর উত্তর বা ব্যবস্থাপনা পেতে দেরি হ’তেই পারে। এমনকি প্রশ্নের প্রকৃতি ও গভীরতার সাপেক্ষে উনি হয়ত কোন প্রশ্নে নিরুত্তর থাকা সমীচীন মনে করতেও পারেন। কিন্তু, যে মানুষটি এত দিন ধ’রে এত সুন্দর একটি আসরকে প্রাণবন্ত রেখে চলেছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত ও বিবেচনার প্রতি আস্থা রাখতে না পারাটা তাঁর প্রতি অসম্মাননার নামান্তর হবে।  



এবং ‘শতরূপে ভালোবাসা’


‘শতরূপে ভালোবাসা’-র মত সুন্দর আয়োজনটিতে কোন এক ভূমিকায় কিছুটা অংশ নিতে পেরে আমার বেশ ভালো লেগেছে। তবে এ নিয়ে এডমিনের পোস্টের উত্তরে বিভিন্ন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখলাম। কিছু প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত মনে হ’ল। এই আসরের হাজার হাজার কবির মধ্যে অংশগ্রহণকারী কবির সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে খুব কম ছিল। সেখানে থেকে বার বার বিজ্ঞপ্তি সহকারে বিভিন্ন নিয়মাবলী জানানোর পরেই, নির্দিষ্ট নিয়মেই বাছাই করা হয়েছে কিছু কবিতা। যেহেতু এ বিজ্ঞানের বিষয় নয়, এ সাহিত্য, তাই আলাদা আলাদা ভাবে যদি যে কোন দশজন ক’রে আলাদা বিচারককে দিয়ে বাছাই করানো হয়, তাহলে প্রতি ক্ষেত্রে তালিকা বদলে যেতেই পারে। কিন্তু আমার লেখা সেই তালিকায় ঠাঁই পেল না মানেই যে, আমার লেখাটি অপাঙক্তেয় হয়ে গেল বা অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হ’ল, এমন ক’রে ভাবাটা ভুল নয়, অন্যায় হবে। এছাড়া এটাই জীবনের এক ও একমাত্র সুযোগও নয় (যদি আদৌ সেটাই লক্ষ্য হয়ও) কোন তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার। আরো সুযোগ আসবে। আমি সর্বশেষ তালিকায় চোখ বুলিয়ে দেখেছি, সেখানে এমন অনেকের নাম নেই যে কবিসকল মাসের পর মাস এই আসরে তাঁদের নিষ্ঠাবান সৃষ্টির দৌলতে পাঠকের ভালোবাসা পেয়ে চলেছেন। এই তালিকায় ঠাঁই না পাওয়া অনেক কবিই যে একদিন বহু পাঠকের মনে ঠাঁই ক’রে নেওয়া কোন বিখ্যাত কবি হয়ে উঠবেন না, কে বলতে পারে! বহু স্বনামধন্য কবির জীবনী পড়লেই তো আমরা দেখতে পাই, তাঁদেরও জীবনে একটা সময় গিয়েছে যখন তাঁদের বহু আদরের কবিতার ঠাঁই হয়েছিল সম্পাদকের অফিসঘরের ডাস্টবিনে। সব চেয়ে বড় কথা, যে তালিকায় আমাদের এই পরিবারেরই কিছু সদস্য স্থান পেয়েছেন, সেখানে আমি না পেলে ক্ষতি কি! যে বইটি একুশের বইমেলায় হাতে পাওয়া যাবে, সেখানে আমাদেরই পরিবারের সদস্য/সদস্যাদের নাম জ্বলজ্বল করবে, সেটাও কি খুব কম আনন্দের?



কিছু অনুরোধ


আমি এই আসরের সব থেকে অনিয়মিত সদস্য হ’তে পারি, কিন্তু এই আসরের সাথে যেভাবে এক অভাবনীয় আত্মীয়তার বন্ধনে জড়িয়ে পড়েছি, সে কথা অস্বীকার করি কি ক’রে! এই যে আসরে এলাম কিছুটা সময়ের জন্য, ভেবেছিলাম কিছু কবিতা পড়া যেতে পারে। কিন্তু আটকে গেলাম আলোচনা সভাতেই। যা কিছু বলে গেলাম তখন থেকে বক বক ক’রে, সেও তো আসরকে ভালোবেসেই। আমি ইতিমধ্যে আলোচনাসভায় আসরের সৌন্দর্যের স্বার্থে দু’একটি লেখা প্রকাশ করেছিলাম। মন্তব্য-অমন্তব্য নিয়েও অনেক কিছুই বলার প্রয়াস নিয়েছিলাম। তবে আজ বাংলা কবিতা ডট কমের সকল সদস্য/সদস্যাদের কাছে কিছু অনুরোধ রাখতে চাই :


১) আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে ভালো থাকার জন্য যারপরনাই প্রয়াস নিই।


২) আসুন, আন্তরিক মন্তব্য (তা’ সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক সমালোচনাও হ’তে পারে) করতে না পারলে, অমন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। মন্তব্যের ঘরে কিছু একটা লিখতেই হবে, কে বলেছে!


৩) যে যে বক্তব্য বা পোস্ট, আসর বা আলোচনাসভার সৌন্দর্য ও ভাবগাম্ভীর্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তা’ পোস্টের আকারে না এনে, আসুন, উচিৎ স্থানে যোগাযোগের মাধ্যমে জানাই।


৪) আসুন আমাদের নিজ নিজ পাতায় পাঠকের জন্য অবাধ দ্বার মুক্ত ক'রেই রাখি। পাতায় সবার অবাধ বিচরণের ফলে মাঝে মাঝে অবাঞ্ছিত অচেনা অতিথির বা চেনা অতিথির অবাঞ্ছিত পীড়ন সইতে হ'তেই পারে। নিজেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখে নির্ঝঞ্ঝাটে থেকে নয়, এই সব পীড়ন সইতে পারাতেই তো থাকে আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা। সেখানেই তো থাকে নির্ভেজাল সৃষ্টিশীলতার হাতছানি। আরো বেশি বেশি সৃজনশীল হওয়ার প্রেরণা। আসুন, খুঁজে নিই।


৫) আসুন, আমাদের যে কোন প্রকার লেখা পোস্ট করার আগে ও পরে, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখে নিই কোন প্রকার টাইপিং এরর রয়ে গেল কিনা। পোস্ট করার পরে পরেই বেশ কয়েকবার নিজের লেখাটিকে মন দিয়ে পড়লে, যদি কোন টাইপিং এরর থাকে, চোখে পড়বেই। কোন বানান নিয়ে সন্দেহ হ'লে অভিধান দেখুন। চট ক'রে দেখে নেওয়ার জন্য, http://www.ovidhan.org/ -এর মত অনলাইন অভিধানের সাহায্য নিন। ভুল বানানসমৃদ্ধ লেখা পাঠকের যথাযথ উপলব্ধি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত ক'রতে পারে।


৬) আসুন, অন্যের অসুন্দরতাকে আমাদের সুন্দরতার প্রতিবন্ধক হ'তে না দিই।


৭) এই সুন্দর আসরটিকে ভালোবাসার প্রথম ধাপ হিসাবে, পরিচালক তথা এডমিনের বিবেচনাগুলির উপর, আসুন, আস্থাবান হই ( পরিবারের কর্তাটিকে অমান্য বা অসম্মান ক’রে বা উপেক্ষা ক’রে, সেই পরিবারেই মাথা উঁচু ক’রে বাস করা যায় নাকি! )।


৮) আসুন সবাই কোন প্রচার বা খ্যাতির মুখাপেক্ষী না হয়ে, শুধুই সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে থাকি।


আমার বক্তব্যের কোন অংশ কোন পাঠক মহোদয়/মহোদয়াকে সামান্যতমও আহত ক’রে থাকলে, নিজ গুণে মার্জনা করবেন, এই আশা রাখি। ইংরেজী নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।