রাঙ্গামাটি শুভলং এ ছোট্ট একটি বাজার,
সে বাজারে সওদা করে চাকমা হাজার হাজার ।
নদী পাড়ে পাহাড় ঘেসে উপজাতী পাড়া,
বাঁশ ও বেতের মাচাং ঘরে বসত করে তারা ।
নৌকায় চড়ে নদী পথে আসা যাওয়া করে ,
নারীরা যায় নৌকা বেয়ে, বসে থাকে নরে।
শত শত নৌকা আসে শুভলং বাজারে ,
সওদা নিয়ে ফিরে যায় সব নিজ নিজ ঘরে ।
নারী পড়ে দোপাট্টা আর পুরুষ লুঙ্গী শার্ট ,
নারী পুরুষ সবাই মিলে করে বাজার হাট ।
রাঙ্গা মাটি ঘাটের থেকে যেতে হয়যে বোটে,
আঁকা বাঁকা নদী পথে শাঁ শাঁ করে ছুটে ।
দুই ধারে দুই উঁচু পাহাড়, মাঝে কিছু ফাঁকা
ফাঁকে ফাঁকে গভীর নদী বইছে আঁকা বাঁকা ।
পাহাড়ের পর পাহাড় শুধু নদীর পরে নদী ,
পাহাড় থেকে ঝর্না ধারা ঝরছে নিরবদি ।
নদীর জলে গোসল করে চাকমা ছেলে মেয়ে,
কলস ভরে পানি নিয়ে উঠে পাহাড় বেয়ে ।
মাটি কেটে সিঁড়ি করা ঐ পাহাড়ের গায়ে ,
উঠতে অনেক কষ্ট লাগে শক্তি লাগে পায়ে ।
ঐ পাহাড়েই পাহাড়িরা থাকে জীবন ভরে ,
ঐ পাহাড়েই ফসল ফলায়, জুম-জমি চাষ করে ।
নদী অবদি ঝর্না ধারা, পাহাড় চুড়া থেকে,
ধাপে ধাপে নামে পানি সদা এঁকে বেঁকে।
বড় বড় পাথরের গায় সিধলা জমা ভারী ,
কেউ কখনো যায়নি সেথা, খোঁজ রাখেনি তারি ।
নাম না জানা কতনা ফুল , ঝর্না ধারার পারে,
মন চাহেযে নয়ন ভরে দেখে নিতে তারে
ছড়ার পাড়ে দারিয়ে আছে উঁচু উঁচু গাছ ,
জানি না কে সাজিয়েছে, বনের এমন সাঁজ ।
এ পার ওপার দু পারে্র গাছ, মিলন ডালে ডালে,  
লতায় পাতায় জড়িয়ে তাদের বেঁধেছে এক জালে ।
সিঁড়ির মতো, খালের মতো, তরুর তোরণ তলে ,
অসাধারণ সুর বেজে যায় সেই সে ঝর্ণার জলে ।
মাঝে মাঝে সূর্য কিরণ যায় না দেখা সেথা,
ঝর্ণা বাঁসর ছেয়ে আছে ঘন গাছের পাতা ।
ফাঁকে ফাঁকে ঝিলিক মারে টুকরো টুকরো রোঁদ,
দুপুর বেলায় রাতের বাঁসর হয়যে মনে বোধ ।
ছরা ধরে উঠে যেতাম দূর পাহারের চূড়ায় ,
সেসব স্মৃতি ভেবে আজও মনটা আমার জুড়ায় ।।