পাহাড় থেকে ঝর্না নামে কল্ কলা কল্ কল্,
জলের ধারা যায় যে বয়ে টল্ মলা টল্ টল্।
কোথাও কভু ঝর্না ধারা বাধা নাহি মানে,
চঞ্চলা এক উন্মাদনা সদাই থাকে প্রানে।
কোথা থেকে আসে পানি কোথায় চলার শেষ,
কেউ জানেনা সেই ঠিকানা, যাচ্ছে নেমে বেশ।
লোকে বলে ঝর্ণা সদাই ছুটে নদীর টানে,
নদী তারে বুকে ধরে পাঠায় সাগর পানে।
সাগর তাকে নিজের বুকে দোলায় তালে তালে,
বাতাস আরও ঢেউ তুলে দেয় নীল আকাশের তলে।
পাহাড় চুরার ঝর্ণা ধারার নৈসর্গিক সে রুপ,
ধরার বুকে আল্লাহ্ র দান এক স্বর্গ স্বরূপ।
অনেক ভাল লাগত সেথা ভিজলে ঝর্ণা ধারায়,
অনেক ভাল লাগত সেথা ঐ পাহাড়ের চুড়ায়।
আদিবাসী চাকমা জাতী বসত করে যেথা,
ধরতে যেতাম উগ্রপন্থি মাঝে মাঝে তথা।
সে সুবাদে যেতাম মোরা গভীর গভীর বনে,
মাঝে মাঝে অবাগ হয়ে ভাবতাম মনে মনে।
ধন্য আমার সৈন্য জীবন, এসে পাহাড়ি দেশে,
ধন্য আমি জন্মেছি মা সোনার বাংলাদেশে।
স্মৃতির পাতায় চোখ বুলালে ভরে সুখে প্রান,
ঝর্ণার প্রতি আজো জাগে ভালবাসার টান।