একটি সভ্য মনুষ্য সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে
ধূলিমাখা শরীরে অনেক খেটেছি আমরা।
প্রেমের রক্তিম ডানা ভেঙেছি দারুণ স্পর্ধায়!
সরস মৈথুনে যুগল আনন্দে সৃষ্টি করেছি
                                নতুন প্রাণ;
তবু গন্তব্যে পৌঁছা হলো না...!


কেবল দেখছি, আমাদের নাভিমূলে
খুব সন্তর্পণে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
মিথ্যার বীজ। এমন উর্বর ভূমি পেয়ে
তর তর করে উঠছে বেড়ে কচি কচি
মিথ্যার চারা! যদি এখনি উৎপাটিত না হয়
গ্রাস করবে শীঘ্রই নিখাদ ইতিহাস।


বিষাদের কালো ছায়া আন্তানা পেতেছে
আমাদের শয্যায়!
বিভক্ত করেছে তোমাকে আমাকে বহুধায়।
জাতি, ধর্ম, রাষ্ট্র কেটে-ছেঁটে ছোট করেছে
আমাদের বিকাশমান আকাঙ্ক্ষাকে
আমাদের অধরা স্বপ্নগুলো এখন
তীব্র আর্তনাদে পিছন পানে হাটে!


এখনো প্রৌঢ় অন্ধকারে আবদ্ধ
              বোধ আর মস্তিষ্ক!
মননের বীর্য্যে বিষের ঘ্রাণ!
অহেতুক পতন-নিষ্প্রাণ!
ভয়ংকর উল্লাসে
কারা যেন নাড়ি ধরে দেয় টান


ছিঁড়ে নেয় অন্তরের সবুজ!


কোন গহন পথে হারায় বাউল
একতারা ফেলে?
কার বাঁশি কাঁদে আর্তস্বরে?
এসব খবর কে রাখে এখন?
আবর্জনার স্তূপের মতো দুর্গন্ধময়
                     যাপিত জীবন!
আমাদেরই গড়া ব্যবস্থায়
নর্দমার কীটের মতো খাবি খায় ভবিষ্যত!
এভাবে কি গন্তব্যে পৌঁছা যায়?