মহেশখালের পাড় ঘেঁষেই বাঁশের বেড়া,শণের ছাউনি মাথায় নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে একটা টঙ।


খালের উৎকট গন্ধটা সয়ে গ্যাছে।
সামনে একটা প্রাইমারী স্কুল,
ডানে বামে বড় বড় এপার্টমেন্ট,
জেনারেল ষ্টোর,ছোট্ট একটা সেলুন, নরসুন্দার চুল কাটার কাঁচির খুচখাচ শব্দ,পাশেই একটা বস্তি
হতে ভেসে আসছে অন্ডিগন্ডিমায়
সংসার ভাঙা আওয়াজ।


এখানেই এককাপ চা আর একটা
আঁধ খাওয়া সিগারেটে বুনো চুমুতে,
সন্ধ্যার পবিত্র ঘ্রাণে কবিতাদের
মৃত মগজগুলো সতেজ হওয়ার
প্রাণপণ চেষ্টায় মাতে।


এখানেই সদ্য চাকরীতে যোগ দেয়া
ছেলেটার ইনক্রিমেন্ট আর প্রমোশনের গোপন সমঝোতায়
কর্পোরেট বেশ্যারা অট্টহাসে!


এখানেই সারাদিনের অবসাদ আর ক্লান্তির ছাপ মুছে ফিকে হওয়া
সম্পর্কগুলো উজ্জ্বল হাসে!


এখানেই মুঠোবন্দি আঙুলেরা
ন্যায়নীতির কথা বলে।
উঁচুনিচু সব শ্রেণী পেশার মানুষগুলোর সম্পর্কে
একটা সখ্যতা গড়ে উঠে।


সম্পর্কের পাতায় জমাট বাঁধে;
কিছু গোপন মায়া অল্প,
চোখ মূখ আঁকা বকে যাওয়া
রাজনীতির গল্প।
গণতন্ত্রের গল্প।
রাজতন্ত্রের গল্প।
পুঁজিবাদের গল্প।
সাম্যের কথা স্বল্প।


০৮/০২/১৭