শালিকের প্রেম
=============================@@@


অনন্ত তৃষায় ভরা প্রণয়িনী চোখ
শ্যামলা বদনে জাগা জারুল অশোক
মরমী কণ্ঠের দ্বারে সুশোভিত বাংলার প্রথা,
বলছি মানবী নয় -
হেমন্তের ধারে দেখা হেন এক শালিকের কথা।


পেয়েই সোনালী প্রাতে ডাকে তার পল্লবের সুর,
সহসা হারিয়ে গেলো এ গহীন থেকে
যা ছিলো দুরন্ত হয়ে পদচিহ্ন চ্যাংড়া দাশুর।
ছন্দিত পুষ্পের শাখে কেউ খায় দোল
হয়তো এমনই হয় নতুনের শুরু,
তন্দ্রালু মাছের আশে -
কারো বা বগিলা করে এক পায়ে হিমে দুরু দুরু।


বর্ণিল ক্ষেতের ধারে -
দুপুর বিকেল যায় ফড়িঙের পুচ্ছে বেঁধে সুতো,
পাগলা ষাঁড়ের কোন নয়তো বা খেয়ে ক’টা গুঁতো -
কোথায় হারিয়ে যায় আকাশের সুর?
ধুসর মরুর মতো লহরিরও বুক
তারপর হয়ে উঠে ধীরে ধীরে বেদনে বিধুর।


দেখিনি ব্যথিত শেষে শালিকের মুখ
দেখিনি কেমনে হলো আঁধারের সাথে তার ক্ষয়,
জানতে পারিনি তারে গোধূলির রবি
বিদায়ে বলেনি কেন -
’আবার ফিরবো প্রাতে ভেবো না হে র’লো এ অভয়!’


=============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
২৫/০২/২০২৪ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন