কবিতার জন্য তুই, নাকি তোর জন্য কবিতা?
ভাবতে ভাবতে লিখতে বসি,
লিখবো বল্লেই কী সব লেখা যায়!
কোন ভাষাতে লিখবো তোকে?
কীভাবে যে বলবো আমি
কেমন তোর ওই মিষ্টি হাসি!
সব কথাতেই তোর কথা পাই,
পেলেই তোকে আবার হারাই,
কবিতার জন্যে আবার খুজি ।
কবিতার জন্য ধূসর সকাল,
কবিতার জন্য অলস দুপুর,
কবিতার জন্য সোনালী বিকাল,
বৃষ্টি পড়ে টুপুর টাপুর ।
কবিতার জন্য একাকী রাতে
জেগে থাকি চাঁদের সাথে,
কবিতার জন্য তিনটি শালিক
ঝগড়া করে তোদের ছাদে ।
কবিতার জন্য চেয়ে থাকি
তোর ওই কাজল চোখে,
কবিতার জন্য চেপে রাখি
প্রথম প্রেমের দুঃখ বুকে ।
কবিতার জন্য পাড়ি দিলাম
ঘর ছেড়ে অনেক দূরে,
কবিতার জন্য থাকবো আমি
তোর মনের খুব নিবিড়ে ।
কবিতার জন্য জটলা বসে
রাস্তাঘাটে, হাটের মোড়ে,
কবিতার জন্যই খুজি তোকে
ব্যস্ততার এই হাজার ভীড়ে ।
কবিতার জন্য কুঞ্জবনে
মধুর খোঁজে উড়ছে অলী,
কবিতার জন্য তোর আমি
নাম দিয়েছি কৃষ্ণকলি ।
কবিতার জন্য তুই রূপসী,
তোর রূপেরই কাব্য আঁকি,
ক্যানভাসে নয়, ছেড়া পাতায়
তোর ছবি তো সব কবিতায় ।
কবিতার জন্য রূপের গড়ন
মহালয়ায় কুমোরটুলি ।
কবিতার জন্য আমার কলম
তোর শরীরের রঙিন তুলি ।
কবিতার জন্য তুই রূপসী,
তুই আমার কৃষ্ণকলি,
গাঁয়ের লোকে বলে কালো ।
জ্যোৎস্না রাতে দেখেছি তোর
কালো চোখে চাঁদের আলো ।
কবিতার জন্য যে যাই বলুক,
আমি তোকেই বাসবো ভালো ।