বাঙ্গালী মোরা বাঙ্গালী আছে গুরুজনের আশীর্বাদ
মাধুরী স্বর্ণালী শৈশবে জড়ানো নানা অপরাধ
স্মৃতি ঘেরা বৈকালী মাতার শুভ্র চুমা গালে
হাজারো শহীদ মালী বহে আত্নহুতির রক্ত সুবাস
বাংলার জমিন কোলে।


জাতীর ফুটন্ত কলি শিক্ষকের অমর চিরন্তন বাণী
ধানক্ষেত নদী আর মুক্তাবালি মায়ায় ভরা জাদুকর গ্রামখানি
ঘরের কোনে ঘর দলাদলি চৈত্রে রোদে পোড়া ঘাম
বাঙ্গালী গো মোরা বাঙ্গালী খোদাই আছে বিশ্ব মানচিত্রে
সাহসী জাতীর নাম।


ওহে প্রিয়তম চৈতালি অন্তরে গাঁথা খেলার সাথীর কথা
চাবুকের ঘা না ভুলি আঘাত করে দমায় দুঃখ ব্যাথা
সবুজ কাননে রঙ্গমহলি প্রকৃতির অভিশাপ
মূঢ়তা ভেল্কি নিত্য খেলি খোলা বুকে
বুলেটের সামনে ঝাঁপ।


আলতা বনে সাজে বসন্ত মেলি সূর্যের মুখের হাসি
ক্ষুধাভুক্ত সনান্দে উৎফুল্লি অশ্রুহীন চোখ নুন ভাতে বাসি
মোহরানা দায়ে সঁপে ভূষমালী অবক্ষেপণ নদীর বুকে ছলাৎ ছলাৎ গ্রাস
টিকে থাকার অটুট বন্ধনে মিলি মোরা ভাই ভাই
সকল জাতের বাস।


বিদ্রোহে উদ্বাস্তু উন্মাদে কাতরায় কুলি দিন শেষে বিজয়ের মাতম
সত্য দেব লেখে অবুঝ বুলি মুষ্টি হাতে ধরে ন্যায় লেখার কলম
সকল দুর্যোগ জলে বিলি অশান্ত ঢেউয়ে ডোবে ভেলা
বনের ধারে ডাকে আকাশচারী মাঠের ফসল দক্ষিণা বাতাসে
দেয় দোলা হয়ে আত্নভোলা।


জয়ের শোভা ছটায় বর্ণালী রুখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
অভিযানে রক্ত হিরিক ব্যাথার ডালি দাউ দাউয়ে প্রাণ জ্বলে অহরহ
পলির তীরে হাসি কান্নায় গড়া হাজার বছরের বাঙ্গালী সংস্কৃতি
এই জনপদ রাখি পাহারায় জ্বালিয়ে হৃদয়ে চাঁদের বাতি
তাইতো মোরা নাম নিয়েছি বীর, বীরঙ্গনা বাঙ্গালী জাতি।