কোথা সে পাইবে মানুষ কেবলি খোলসে ভরা
দেখ সে বাকলহীন কঙ্কাল ঘুণে পোকায় ধরা
কৃত্তিম আলোয় উঠিছে আত্নায় শিহরিত ঢেউ
বলি না মানুষ তারে, হয়ত বলিবে কেউ।


নিজেরেই ভাবি না মানুষ দোষ দেব কারে
চাঁড়াল মুচি সম নহে, অহংকারের ভারে
মানুষে মানুষ বিশ্বাস লুটে মর্ত্য করেছি ভাগাড়
সত্যই দিনে দিনে বাড়িতেছি বটে, ধরিতেছি গাধারো আকার।


সত্য করিব বাহির নিত্য করিতেছি শপথ
ভৃত্য বলিতেছে আমায়, নিজেই নিজের আপদ
গালে হাত রাখিয়া ভাবিলে জ্ঞানী রহিয়া চুপ
হঠাৎ জাহির করিতেছি সবে ময়দা মাখা রূপ।


বাহিরের আঁধার ঠেলিতেছি দূরে সবে চেতনার খেয়ালে
মুছি নাইকো তা সেটে আছে যা মনের দেয়ালে
জলকেলি খেলে বলি আছি অভাগিদের পাশে
গৃহদ্বার বন্ধ করি, না দেখিয়া চেনা লাশে।


নেশায় নেশায় হারায়েছ আঠারোয় দেহের বল
স্বর্গ থেকে আসিবে কি বাছাধন তাহারি সুফল?
বিশ্বময় ছলনায় অমানুষের মানব প্রেমের চিৎকার
চুপ কর বেটা, শুনিসনি কি তাহাদের অন্তরের ধিক্কার?


মানব প্রেম পূঁজি করে মঞ্চে চলে নাটক
হুমড়ি খেয়ে চুষে খায় রঙ্গিলা গাঁয়ের পাঠক
বিশ্ব আর জরা ভার বহিবে কত দিন
তোমাদের কাছে আমার যা আছে দিলে কি শোধিবে সে ঋণ?