ও কলঙ্কী কাঙ্গালিনী কোথায় পেলে কুলাচার
কুলগ্নে জন্ম দিলে কুরূপ কুলাঙ্গার
ভাঙা কুলা কামড়ে ধরে মাথা মোটা তার
কোড়ল রোগে হাপায় বেঁকে কালো গায়ে জ্বর
অকাজেই কাজের কাজী তেষ্ট নাম যার।


ঠাটার ধ্বনি পালায় দূরে, ভ্যা ভ্যা কানে ধরে হাত
কালো মাটি কাঁপে চিরে, তাঁত কাকুও বাদ
ওজন হবে এক কাঁচ্চা, নয় বুড়ো নয় বাচ্চা
কহে গিয়ে কাঁক দেখতে ঠিক তারি মত
তাইতা দেখে থতমত হারিয়ে গেছে বাক।


কহর এল কোল জুড়ে কুমকুম চিনল না জাত
জননী দম বন্ধ করে কানে তুলোর বাঁধ
হতবিম্ব কুক্ষি শূল কুচর্যায় ডুবল কূল
সারাদিন ঘরের কোনে ফন্দি আঁটে বন্দী মনে
হারিয়েছে জীবন স্বাদ ধ্যাত ধ্যাত ধ্যাত।


উষ্কখুষ্ক তার কেশরাশি বাঁধায় শুধু কেশাকেশি
কামড়ে ঠোঁটে পাটা সে ভাঙে গুতে
ওহে ক্যাশিয়ার ছুড়ল দূরে ওই পুকুরে তোমার কোষাগার
নড়ায় খুঁটি ধরে টুটি নাচে বুকের পোড় খাওয়া হাড়
সাদা পায়রা নেয় ছুটি, কষে বাড়ায় হাতের মুঠি
দুম দুম ঘটি বাটি, থামায় এমন সাধ্যি আছে কার?


রাগ হলে যুদ্ধ বাঁধে নেমাই বাবু পালায় চাঁদে
কলম ভেঙে ছেটায় কালি, ডিম ফাটিয়ে লাগায় তালি
চারিদিক দুশাসন কুচক্রে কাঁদে বাসন
দড়ি দিয়ে বেঁধে কোঁচা, হাড্ডিসার নাক বোঁচা
চোখ কোটরে রাগের বাসা, ছারপোকা যেন রক্ত চোষা।


কাঠ কাটে দাঁতের করাত, কানে খাটো মন্দ বরাত
গালে মেখে চুন ন্যাংটা হয় ঘুণ
নৃত্য করে কীর্তন ধরে কলস ভাঙে যুদ্ধ করে
এসবের খুজি কারণ রাত দিন ভর
দিনে দিনে বাড়ে পীড়ন দুঃখে উজাড় ঘর
রোগ, রাগ দুটি ভাই, জীবন পুড়ে করে ছাই।