ছন্দের মোহনায় সুর বাঁধা গহনায়
ওহে জীবন তোমারে ভাবি কবি
আটানার কাগুজে সেজে গুজে সাজো যে
নিত্য আঁকি তোমারি ছবি।


পাতায় পাতায় লিখেছ কত না ইতিহাস
ছুঁয়ে দেখতে তোমায় মনে জাগে অভিলাষ
খুজি মেঘের ভাঁজে সকাল সাঁঝে
নির্জনে কাক ডাকা ভোরের কাছে।


সুভাষিণী চলে দূর সুরালায়
বাজে বীণ তাধিন অবেলায়
চলে যায় বলে যায়
সময় ডুবে যায় অবেলায়।


কাজল মাখা চোখের লাজে
ডাকি, মন বেহুলা যখন বাজে
ঘন বনে নাহি ঠায়
চলি ডানে চলি বাঁয়।


সোনালী গোধূলিও চলে যায়
রিমঝিম মাদুলি বাজে হায়
মশাল হাতে আলোকিত ঐশ্বর্য ধরে রাখ
চোখ জ্বলা তেপান্তরে ঐ দূরে তুমি থাক?


চন্দ্র মহলে শুভ্র বিছানার চাঁদরে
তবে কেন শ্রাবণে নির্ঝরে কাঁদরে?
মায়ের অনাবিল ঝিলিমিলি আদরে
তাই বুঝি অমন করে সংসারে বাঁধরে?


প্রিয়ার লীলা মেলা ভার
তাই বুঝি অমন অহংকার
টোপা ফুলের হৃদয় গভীরে
বুক ফাটা দ্বন্দ্বে ডোবরে।


আঁধার ঘেরা দিশেহারা নক্ষত্র
নাকি ভাড়াটিয়ার সমর পত্র
আত্নহারা ভীত নড়া মলিন তাঁরা
ভাবতে ভাবতে আমার জনম সারা।


চলার পথে মায়ার ভুল
পথিক ক্লান্ত খুজতে মূল
খুজি তোমার আকার চিহ্ন
নও কি গো ভিন্ন?


কতক পরে তোমার ভিটে বাড়ী
চুপে মরি তোমারে সন্ধান করি
অজস্র প্রশ্ন মনের কোনে রয়ে গেল জমা
অগোচরে রইল ভাবনা, তোমার আপন ঠিকানা


ক্ষুধিত মনে স্বপনে ফুল কলির বৃন্ত ছিঁড়ি
তোমার তরে এঁকে দিলেম প্রশ্নবোধক দাঁড়ি।