পাতা ছুঁয়ে পড়ছে নুয়ে জল
শুষ্ক কোনে নবমেঘে শর্বরী ডাকে অবিরল
এমন দিনে বেণী বুনে চুপিসারে নির্জনে
বাধি সুতোয় সঞ্চ মালায় বিরহ বাঁধা
হারাই দূরে অচিনপুরে কেবলি কি ছায়ার ধাঁধাঁ?
পুলকিত ভাবি সদা তুমি হও বিরহিণী রাঁধা।


বাদল দিনে উতলা মন
নাট্য আয়োজনে সুখের উদ্দীপন
ক্ষণিকের অতিথি হয়ে দাড়িয়ে একলা
জল ছুড়ে বহুদূর হতে দুজনেরি খেলা।


স্বর্ণ কুটির আলো করে
এলে যে মোর বিরান ঘরে শ্রাবণ বর্ষায়
দিগন্তের নীল ছুঁয়ে আকাশ তরী বেয়ে
ডেকে যাও কোন বা ভরসায়।
ধন, মান গেছে ফুরে এমন অবেলায়
অশ্রু গীতি বর্ষণ হয়ে সিক্ত অদূরে
ব্যাকুল হয় আকুলও ধারায় করতে মন বিনিময়।


মোহিত সুবাসে ভাসে বিরহের ঘ্রাণ
সুরালকে তোমার তরে কাঁদে আমার প্রাণ
নিঃসঙ্গ জনপদে মুক্ত তোমার কেশ
অভিসার দর্শনে ঘটবে বিয়াকুল দ্বেষ
সন্ধার লগ্নে ঊষার বলি,
পিতল প্রদীপে বাতি জ্বলে নিভু
কালো চাদরে ঢাকে শ্যামলী
মাধুর্য পসরা ভোলার নয় কভু।


দক্ষিনা পবনে ভেসে জল টিপটিপ ঝরে
মিহি সুতার শাড়িখানি হেসে হেসে ওড়ে
পুলকিত অভিমান কবে বিধেছে বুকে
খরা তীর বর্ষায় পোড়ে শোকে শোকে
ললনার ছলনা মিলে বিলে ঝিলে ভারি বর্ষণ
ভরা বর্ষণ স্মৃতি ঘর্ষণে চমকায়ে কর্ষণ করে ওহে প্রিয়তম
ভিক্ষ হৃদয় ভরে মরা লাশে
বিজলী ঝলক আঁধার ঘরে খলখলে হাসে।


ফাগুন ঢেউয়ে সবিনয়ে উষ্ণ আলিঙ্গন
উদাস রাজ্যে বৃষ্টির ঝুমঝুম ছন্দ ধ্বনি
জানালায় হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুঁয়ে
আর না হয় থাক কিছুক্ষন
হৃদয় ঘরে যত্ন করে সাজাই মাটির পুতুলখানি
পাথার তলে হারিয়ে গেল ঝরিয়ে চোখের পানি।