সোনা বর্ণের সোনার খ্যাতি ঝরঝর পড়ছে ঝরে
বলবে লোকে জাদুর মতি বুকে আনন্দ না ধরে
হাসিতে হাসিতে চোখের কোনে জল
হৃদয় কোনে ওঠে ভরে কলকল
পথের শিশু বড়াই করে শূন্য ছিলে ভোর বেলা
দৈন্য বুকে সুখের বাতাস চুরি করে কর খেলা।


চনচন মোহবনে খরাতাপ বক্ষতলে
আশা ছেড়ে দাড়াই উত্তাল নদীর সাধের কূলে
ঢেউয়ে ভেসে চল হে অচিন দূরে
বুঝি নাইতো মরণ উঠবি আরো বেড়ে
সবশেষে গতি হারা পথে, বুকে বিধে বিষাক্ত তীরের কণা
সিধ কেটে বাঁধে সাপের ফনা।


আসলে এমন সময় না হয় প্রস্তুত নিঃশ্বাস
অসময়ে ছাড়ব ভুবন রাখিনি এ বিশ্বাস
ছলনায় হতে চেয়েছ স্বার্থনেশি ভবিষ্যৎ কালে
মূর্ছা সঙ্গীত গেয়ে তুলেছ যুদ্ধের সুর
ভেবেছ নিতল প্রহরী নিয়তি সে অনেক দূর।


কখন কে জানে ভাই, যে আসবে তোমার দ্বায়
সে একবেলার সাথী
শাসন করবে দেহের রাজ্যে অন্তিম নিরালায়
চুষে নেবে মান যশ খ্যাতি
সবেতে হচ্ছ পার মুকুট ভাসায়ে সুধা পানের খালে
দুরন্ত নওজুয়ানিরে ঠেলে, আড়চোখানি হঠাৎ তুমি এলে।


আবেদনে, প্রলভনে পুরেছি অন্তরে সিন্ধুসম গরল ঋণ
ভেদে দেহ মূর্তি বাজিছে আজি করুণ বীণ
চোরাই খ্যাতির চেয়ে নিরুপায়ে আঁধার মানায় বেশ
সে নিষ্ঠুর রাজ্য অচিন খ্যাতির দেশ
ওহে আঁধারপুরি ভেবে দেখ একবার কি হবে
যার ধন করেছ চুরি সেই ভবে রয়ে যাবে
আর তোমার খ্যাতি, স্মরন করবে কি জাতি?