নিরুপমা তুমি অনন্য
এক খণ্ড সাদা মেঘ শুধু তোমারি জন্য
নিরুপমা তুমি অনন্য
শুভ্রতার চাঁদরে মায়াবী পরশ, লতায় বাঁধা হার
হৃদয় গহীনে আরতো চাহিনে, ওই বদন ভার
তোমার নেশায় ডুবে থাকি, কে নেভাল আগুন
জগৎ জুড়ে নীলিমার বুকে, কে আনলরে কাল বৈশাখী ফাগুন?
হরিণীর চোখে ধনুকের তীর, কে বসাল বল?
পাপড়ি ফোটা নয়নতারায়, মুক্তা ঝলমল
উষ্ণ ঠোঁটে তৃষ্ণা তোমার, শান্ত বুকে ঢেউ
হয়ত জানে রাতের জনাক, আর জানেনা কেউ
তুলি দিয়ে আঁকা তোমার, বুলির মত সুর
কোমর দোলায় মন নাচে, কে বলেরে দূর?


নিরুপমা তুমি অনন্য
আমি ভরা শীতে শূন্য, তুমি পূর্ণিমায় পূর্ণ
নিরুপমা তুমি অনন্য
ডাহুকের ডাকে জেগে ওঠা ভোর
শিশির বুকে লেগে আছে ঘোর
কানন পানে সুরভী দোলা, দেখি কত রুপ
আনমনে দেখি পড়ন্ত বেলায়, নীলিমার মাঝে চুপ।


নিরুপমা তুমি অনন্য
ওই চাঁদ তাঁরা কি জঘন্য!
নিরুপমা তুমি অনন্য
সুখের কাঁপন বুকে এসে, মেঘ হয়ে যাও ভেসে
জল চুয়ানো রং ছড়ানো, এলোমেলো কালো কেশে
দুরুদুরু আলো ছায়, আলো ভরা কালো গায়
আমি কেন নিরুপায়, বাঁধিতে গো মনে চায়।


নিরুপমা তুমি অনন্য
তোমাতেই ভরা সুখ, আমারি কেবল দৈন্য
নিরুপমা তুমি অনন্য
আলো ফোটা বিন্দু, সিন্ধু পাড়ে ঝরে
সব প্রাণ পুড়ে যায়, সুরেলা বাঁশির সুরে।


নিরুপমা তুমি অনন্য
মাতাল হওয়া ঘ্রাণ খুঁজি, হয়ে আজি হন্য
নিরুপমা তুমি অনন্য।