বিদ্যার থলে মাথায় নিয়ে, ছাড়ছি সাধুর বিজ্ঞাপন
দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা পেলাম, এ সবি আত্নার মৃত্যু আয়োজন
নিভৃতে নির্জনে সখারে করিয়া আপন
মহাযজ্ঞে প্রেম প্রণয় করিয়া জ্ঞাপন
নিজের ক্ষতি করলে যদি, তবে কাহারে দিলে দোষ
কর্ম পরে, অবসারে যে কুড়ে কুড়ে দংশিয়া মারে
সেই বিবেক কি করিবে আপোষ?


সুতি কাপড়ে যদি নিবারণ না হয় লজ্জা
কিবা কারণ দর্শিবে করিয়া আলোক সজ্জা
যা ছিল অতি মূল্য তাই ভাবিলে তুমি তুচ্ছ
কে দেবে সম্মান করিয়া গোলাপ এক গুচ্ছ?
মাতাল হইয়া ভাবিতে ভাবিতে
রাখিলে চঞ্চল হাত নির্জীব ছবিতে
কালো মেঘমালা ঢাকিয়া রাখিবে রাত
আঁধারে ডুবিয়া রইবে দেখিবা না আলোর প্রভাত।


তাপে তাপে শুকিবে, আসিবে যখন রুদ্র খরা
আকাশ তেতিয়া আসিবে ঘরে জীর্ণ জরা
না পাইয়া তাল, ফাঁসির রশিতে আগায়ে দেবে গল
মৃত্যু বাধিবে শাল কাষ্ঠে ভিজিয়া জমিয়া বহিবে
উলটিবে না আর জীবনের পৃষ্ঠে
ওরে সুখ ছাড়িবে তব পিছু
কিবা পাইবে আর, দুখ ছাড়া অন্য কিছু।


সম্ভ্রম ছাড়িয়া ধর যদি হস্ত মুঠি
ভাবিও কি দিলে বিসর্জন
আর কাহারে দিলে জীবন থেকে ছুটি
ছমকিয়া ছমকিয়া ব্যাথা ভেদিয়া করিবে গর্জন
ভেঙে গেলে বরফের বাসন
আপন মহিমায় তাহা কি আর করিতে পারিবে অর্জন?


সমাজে যা বিদ্বান রহিয়াছে আজ নাই তাহাদের
পবিত্র চরিত্রের ছাপ
মূর্ছনা বংশীতে, ধেয়ে আসিতেছে দংশিতে
বিষাক্ত ফণার সাপ
থামাও আবেগ, জাগুক বিবেক
মুছুক সকল পাপ।