দাবি আমার ফাঁসি চাই, মাগো তোমার গলে
মৃত্যু পরে বসব চড়ে কোলে অধিকারের বলে
নষ্ট ভ্রুন কষ্টে মরে কেউ রাখেনা খবর
নিজ হাতে মা করলে রচন ধংসস্তূপে কবর
ফুল হয়ে ভুল কি আমার কূল নাহি পাই
এত বড় ভুবন তবু হয় না একটু ঠাই
তোমারা থাক অট্রালিকায় আলোর শিখার ঘোরে
পচালে আমায় অনাহারে ধুলো ময়লার ঘরে।


কি হত মা আমি এলে, ভুবন খেলার মাঝে
শীতল স্পর্শে চুমু দিতাম তোমায় সকাল সাঁঝে
আকাশ পানে চোখের কোনে তাঁরার খেয়াল রাখ
আমাবর্ষা ভাবলে যদি, তবে কার ছবি মা আঁক
আত্নকাহিনি লেখেনি বিশ্ব ধর্ম বর্ণের করেনি ভাগ
প্রদীপ জ্বেলে করেনি জন্ম উৎসব, কিসে এত অনুরাগ
ছিরে ছিরে খাইনি ওরা, পথের কোন কুকুর
তোমারা কুকুর খেয়ে আমায় তোল তৃপ্তির ঢেকুর।


ওই হায়না পিতাকে কতল করিব, চরণ দুটি বেধে
উল্লাসে মাতিব, উঠবে যখন আমার মত কেঁদে
তৃষ্ণা তৃষ্ণায় বুক ফেটে কাতর হবে প্রাণ
নাকে শুকাব তারে বাসি হওয়া শুকনো রক্তের ঘ্রাণ
তার হাড় কঙ্কাল অন্ধ কূপে রাখিব জমা
মনের আগুনে পুড়িব তারে না করিব ক্ষমা
কোকিল ডেকে বসন্ত এনে পূর্ণ কর মনোবাসনা
আগাছা বলে কাটিলে নাড়ি, বলি আমায় দোষনা।


আমি ভূমিকম্প ক্ষণে ক্ষণে কাপাই বুক
নাই নাই আমি বিনে পাইবে কোথা সে সুখ
আমি অতৃপ্ত আত্না বিশ্বময় ঢাকা কালো ছায়া
কপট খোলা দমকা হাওয়া, চলে যাই দংশিয়া
শিয়াল শকুন কামড়ে খেল দেখলে না মা চেয়ে
রক্তে ভেজা সোনার জমিন, বিদায় আকাশ বেয়ে
ছুটি দিলে জীবন থেকে,নয়ন খোলার আগে
আমি কি মা অপবিত্র, মান খোয়ানোর রাগে।


বুদ বুদ ফেনা নীল হয়ে জমে কাল সাগরে
আদরহীন বুকে আর্তনাদ ঘুম ঘুম নয়ন ডাগরে
বিচার কি হবে, কে করিবে বিচার?
নিয়তি আমার অনাদারে উপহাসে করে অত্যাচার
ধিক্কার দিতে হাসি পায় দুগ্ধহীন তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে
নিষ্পাপ মুখ দেখেও কাদলে না, পিপড়া নিয়েছে লুটে
চাতক চোখে প্রতীক্ষায় সেই যে ফেলে গেলে
ফাঁপর কান্না না দেখিলে, মনের কপাট বন্ধ করে দিলে।  


ওরে পাপী তোরা, সান্ত্বনা আমি নিষ্পাপ
দিয়ে গেলাম দিয়ে গেলাম মজলুমের অভিশাপ
বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তোল মারতে পারনা অমন করে
ওরা স্বর্গের পাখি, ওরা আমার আদরের দিদি ভাই
অনুভব কর তার কষ্টখানি, দুঃস্বপ্ন রাতের চিৎকারে
একই দেহ একই প্রাণ তারো আছে পিতৃ পরিচয়।