প্রিয় সুভাষিণী অশ্রু সিক্ত নয়নে চলছি নিশ্চুপে
সুর লিপি লিখেছিলেম যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেয়ালে
সাধের পিয়ানো আমার অবহেলায় পড়ে আছে ধ্বংস স্তূপে
ফিরে এসে শোনাব বলে গান
যাওয়ার বেলা তোমার সেকি অভিমান!!!
ফিরে ফিরে কেঁদেছিলে বিরাগ খেয়ালে
আমি সুর লিপি লিখেছিলেম যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেয়ালে।


চাঁদের অমন আলো দেখে হৃদয় আমার চমকায়
হারিয়ে যাই নিভৃতে অজানা কোন শঙ্কায়
ধুলো মাখা স্মৃতি পটে সাদা কালো ছবি
ক্ষণিকে ক্ষণিকে আত্নচিতকারে করি অস্তিত্বের যুদ্ধ দাবি।
বুলেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত শরীর দুই মানবীর
চারিপাশে অসহায় মা মেয়ের আর্তনাতের ভিড়।


অপেক্ষায় ভাঙা দেয়াল ঘেঁষে, পিয়ানোখানি রেখে পাশে
মন ভারে প্রহর গণনা, বিষণ্ণ মমতা ভরা উদাসে
পুরনো কফিনে নতুন লাশ, দেখে দেখে বারো মাস
ভাগাড়ে কঙ্কাল সারি সারি, নষ্ট মনের উপহাস।
তুমি সাঁঝ বেলা গৃহ কোণে, চাও আমায় নিভৃতে নির্জনে
মা হারানো শিশুর কান্না, দুচোখে কেবলি শ্রাবণের বন্যা
পাথর চাপা শোকে সিক্ত হিমালয় বুকে
ছিন্ন কাপড় পড়া অর্ধ গলিত লাশ
পৃথিবীর কেউ ছিল ভুলে গেছে আজ।
নামহীন বৃদ্ধ তার বুকেও যুদ্ধ, হও শুদ্ধ।


মনে কি পড়ে নিশীথের কবিতাখানি
সেদিন হেসে কুটি কুটি হয়েছিলে প্রিয় সুভাষিণী
আনন্দ অশ্রু তলে দুজনের হারিয়ে যাওয়া
জীবনের ছেড়া পাতায় যাবে কি পাওয়া?
ধুলো মাখা স্মৃতি পটে সাদা কালো ছবি
ক্ষণিকে ক্ষণিকে আত্নচিতকারে করি অস্তিত্বের যুদ্ধ দাবি।


রংহীন বর্ণের এই না আলোর ভুবন
মেহেদী হাতের মিলন তরী আজকে হল গোপন
ঘোর অমানিশা শেষে, জানি উঠবে আলো হেসে
হৃদয়ে উর্বর সবুজ ঘাসে, আমার প্রিয় সুভাষিণীর বেশে
অপেক্ষায় শ্যাওলা দেয়াল ঘেঁষে, পিয়ানোখানি রেখে পাশে
মন ভারে প্রহর গণনা, বিষণ্ণ মমতা ভরা উদাসে।


কাঠের পিয়ানো ঘুনে পোকায় করে নাজেহাল
তোমার বুকেও যুদ্ধ আজ, সুর তোল হয়ে বেসামাল
নীরবে একা খোলা চুলে, মাধবীলতার বেণী খুলে
মুখোমুখি দুজন দুজনায়, বিধুর নয়নে প্রেমের মহিমায়।
যুদ্ধ শেষে বসব খোলা জানালা অভিমুখে
এইতো অভিমানী আর কটা দিন বাদে
প্রিয় সুভাষিণী বস স্মৃতির পাশে, সূর্যখানি নোয়ালে
সুর লিপি লেখা আছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেয়ালে।