তোমরা দেখ ইট পাথরে জমাট বেঁধে শক্ত
আমি দেখি রক্ত মিনার দিগন্ত ছুঁয়ে ক্ষিপ্ত
তোমরা দেখ কৃষ্ণচূড়া রাণীর মত দুলতে
আমি দেখি কোমর বেঁধে রাজপথে সে নামতে
তোমরা দেখ মাথার উপর কয়েক ফুটেতেই শেষ
মনের আকাশ ছেপে সে ছেয়ে গেছে দেশ
তোমরা দেখ পথের পালক এক ঝলক কেবলি হলুদ ঘাস
আমি দেখি প্রানের স্পন্দনে জেগে ওঠা ভাষা শহীদের লাশ।

তোমরা দেখ চটে ওঠা দেয়ালে জল পড়ে গর্ত
আমি দেখি পায়ের আঘাত পাকিস্থানি ধ্বংস হবার শর্ত
তোমরা শোন বুলবুলির গান নানা রকম ভঙ্গি
আমি দেখি তৃপ্ত গলার দীপ্ত শিখায় স্বাধীনতায় রাঙ্গি
তোমরা দেখ শীতল ঝর্ণা অঝোর ধারায় ঘামতে
তার চলা থামবে না আজ, পারবে না সে থামতে
তোমরা দেখ সূর্য লাল সন্ধ্যায় যায় থেমে
আমি দেখি তূর্য মনে বজ্র হয়ে ধরায় আসে নেমে।


তোমরা কেবল শহীদ দেখ, চেয়ে ছবির পানে
আমি শুনি বজ্র আওয়াজ ছন্দ বাজায় কানে
তোমরা দেখ চিলের ওড়া আকাশ ছেয়ে উড়তে
আমি দেখি ক্ষুব্ধ মনে হায়না খুজে ধরতে
তোমরা দেখ মাঠের মাঝে রোদ্র খরায় পুড়তে
আমি দেখি সৈনিক ওরা শপথ করে মরতে
তোমরা দেখ নিকট ফাগুন চোখ ধাঁধায়ে যায়
আমি দেখি আগুনে পুড়ে করবে সত্য জয়।


তোমরা দেখ বাউল হাতে বাজায় দোতারা
আমি দেখি টোকায় টোকায় জাগছে সব পাড়া
তোমরা দেখ হাওয়ার দোলা, বটের ছায়ায় বসে
আমি দেখি ত্রাসের খেলা সেই হাওয়ারি মাঝে
তোমরা দেখ শহীদের নয়ন মাঝে নীরব কাতরতা
আমি দেখি শুদ্ধ প্রানের অসীম সে বার্তা
তোমরা দেখ বিলের জলে শাপলা শান্ত কোমল
আমি দেখি কালনাগিনীর বিষে ভরা ছোবল।


তোমরা দেখ ভোরের শিশির অসীম শুন্যতা
আমি দেখি তারি মাঝে তৃপ্ত পূর্ণতা
তোমরা দেখ গন্ধ মুকুল ছন্দ মেলে হাঁকে
আমি দেখি ভরাট কণ্ঠে মিছিলে যেতে ডাকে
মনের খাতায় ছন্দ লিখে মুক্ত হাওয়ায় উড়তে
এ বাংলা আমার তাইতো লিখি ভাষাখানি শিখতে
রক্তের মিনার  রক্তে মিশে ছড়িয়ে যাক চেতন
রক্তের মিনার  উড়িয়ে যাও মুক্ত ভাষার কেতন।