অন্ধকারে পথ চলতে পথ যাই ভুলি
সঙ্গী বিহনে আলো বিহনে পায়ের নিচে খেলা করে ধূলি
আমাবস্যায় রাতের চান মেঘের আড়ালে থাকে লুকায়ে
আঁধারে নিত্য ঐকতান দুর্বার বেগে আসতে চায় বেরিয়ে।


গিরি পথের বদ্ধ দ্বার ঘুচায় মুষ্টি হাতে
ভোরের আলো ফুটবে জানি শিশির ভেজা প্রাতে
ঝড় ঝাঞ্জায় উদাস বেশে নিশিতে বিজয়ের নেশা
আটকায় এমন সাধ্য কার বুক ভরা তার আশা।


সবুজ কাননে হাওয়ার ঘূর্ণি পাক
আঁধার কূপে শূন্য হাতে ঝাঁপ
ওরা মুখ থুবরে পড়ে আছে রাস্তার ধারে
বেদম পিপাসায় আধমরা শুকনো চোখে অচৈতন্যের ছাপ।


বৈশাখের ধার গেছে ঝরে, গোলাপ ফুলের কলি সুবাসে মুণ্ডিত
ভ্রান্ত আবেগে দুলছে কালের পাল সুবাস নিতে হইওনা জুয়ান কুণ্ঠিত।
হাড় কাপনে সদা বাজে অবুঝ দানের গোংরানো আওয়াজ
গহীন চর থেকে কে যেন ডাকে? আবছা স্বর চেনা মনে হয়
দুরু দুরু ভীতুদের লাগে ভয় নয়তবা দেখেনি এর আগে!!!


কাহিল আছে কঙ্কাল সেজে কেউ তোলেনি বুকে, করে অবহেলা
রয়েছে ছিটিয়ে পড়ে উন্মাদিরা চলছে পায়ে মেড়ে
তার দ্বারা সাজিয়ে নিও সোনালি প্রেমের ডালা  
যত্ন করে গেঁথো মালা, ঝরে পড়া ফুলে
ওরে নবীন যাসনে ওদের ফেলে।


সম্মুখে আছে আরো দুর্গম বাঁধ
খেজুরের কাটায় ফুটবে দেহ
কাল মৃত্যুকে বুকে জড়িয়ে নিও মৃত্যুর স্বাদ
সান্ত্বনার বাণী শুনাবেনা কেহ।


ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক হারায় কই?
মাতাল মহুয়ার বন্দি কারাগারে
কালো পেত্নীকে জয় করতে পারবো কি গো সই?
বিনয় নন্দিনীর আক্ষেপের তরে।


জীবন খেলা তুচ্ছ জ্ঞানে
তেজ নিয়ে যাও এগিয়ে, নাই কোন ভয়
দুর্গম লীলা ধুলোয় পুতে
হবেই হবে জয়।